৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪২

মাধ্যমিকের চেয়ে প্রাথমিকে ১৬ দিন ছুটি কম যে কারণে

ছুটি নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে  © ফাইল ছবি

দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে নতুন শিক্ষাবর্ষে ৭৬ দিন ছুটি থাকবে। তবে সে তুলনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি থাকবে কম। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। তারা বলছেন, এতে তাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনাকালের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়াসহ বিভিন্ন কারণে কম ছুটি পাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়।

জানা গেছে, গত ২১ ডিসেম্বর ছুটির তালিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী, ২০২৪ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি থাকবে ৬০ দিন। তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ ১৬ দিন বেশি ছুটি পাবে।

প্রাথমিকের শিক্ষকরা বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বছরে ৭৬ দিন ছুটি দেওয়ার কথা বলা আছে। তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিজেদের ইচ্ছেমতো ৬০ দিন করেছে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও বিরুপ প্রভাব পড়ে বলে মত তাদের। একটি পরিবারে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় পড়ুয়া সন্তান থাকতে পারে। সেখানে একজন বেশি ছুটি পেলে অন্যের মন খারাপ হওয়াটা স্বাভাবিক।

বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. শামছুদ্দিন মাসুদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষাক্রমে ৭৬ দিন ছুটির কথা বলা থাকলেও প্রাথমিকে দেওয়া হচ্ছে ৬০ দিন। আগেও কম দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। ছোটরা কম ছুটি পেলেও বড়রা পাচ্ছে বেশি। এর অবসান হওয়া উচিৎ।

আরো পড়ুন: প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা কবে, যা জানা গেল

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি বদরুল আলম মুকুল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইচ্ছে করে কম ছুটি দেওয়া হয়। এ বৈষম্য বহুদিনের। এমনকি সংরক্ষিত ছুটিও প্রধান শিক্ষকদের হাতে নেই। শিক্ষা অফিস থেকে অনুমতি নিয়ে দিতে হয়। তাদের ওপর সবকিছু নির্ভর করে।

জানা গেছে, চলতি ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ২২ দিন কমিয়ে ৫৪ দিন করা হয়েছিল। নতুন শিক্ষাক্রমে ৭৬ দিন ছুটি দেওয়ার কথা বলা আছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, আগে থেকেই মাধ্যমিকের চেয়ে প্রাথমিকে ছুটি কম থাকে। পাবলিক পরীক্ষার কারণে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি থাকে বেশি। করোনাকালের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার কথাও বলছেন তারা।

ছুটি নিয়ে এমন বৈষম্যের বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গতবারের চেয়ে এবার ছুটি বেড়েছে। গতবার রমজানে ৯ দিন খোলা ছিল। করোনার কারণে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ছুটি কম দেওয়া হয়েছিল। সবার স্বার্থে এটুকু তো মানতে হবে। ছুটির চূড়ান্ত তালিকা রোববার প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।