প্রাথমিকে বৃত্তি কীভাবে দেওয়া হবে– এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি
চলতি বছর থেকে প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে পরীক্ষা বন্ধ হলেও ভিন্ন প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে বলে গত আগস্টে জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয়। তিন মাস পেরিয়ে গেলেও ভিন্ন আঙ্গিকে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে কীভাবে বৃত্তি দেওয়া হবে, তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ফলে এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে।
চলতি বছরের আগস্টে প্রাথমিক শিক্ষার স্তর শেষ করে নিম্ন মাধ্যমিকে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি দিতে পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা আর থাকছে না বলে জানিয়েছিল প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তখন বলা হয়েছিল, ভিন্ন আঙ্গিকে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে বৃত্তি দেওয়া হবে। তবে সেই মূল্যায়ন কীভাবে, কীসের ভিত্তিতে হবে, এ বছর বৃত্তি কীভাবে দেওয়া হবে– তা এখনও স্পষ্ট করেনি মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক (উপবৃত্তি বিভাগ) মো. হোসেন আলী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ হলেও এখন পর্যন্ত আর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
নতুন কোনো মূল্যায়নে বৃত্তি দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আর বৃত্তি দেওয়া হবে কিনা অথবা কীভাবে মূল্যায়ন হবে কোনো নীতিমালা তৈরি হয়নি এখনও।
জানা যায়, বৃত্তি দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই করতে পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার বাইরে বাছাই করা শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে পরীক্ষা নেওয়া হয়। সারা দেশে একযোগে হওয়া ওই পরীক্ষা বৃত্তি পরীক্ষা হিসেবে পরিচিত।
২০০৯ সালে জাতীয়ভাবে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু করে সরকার। এরপর থেকে ওই পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতেই মেধা বৃত্তি দেওয়া শুরু হয়। ফলে আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়।
দেশে কোভিড মহামারি শুরু হলে ২০২০ ও ২০২১ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বন্ধ থাকে। ওই সময় বৃত্তিও দেওয়া হয়নি। পরে জানানো হয়, নতুন শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে যেহেতু, সেহেতু সমাপনী পরীক্ষা আর নেওয়া হবে না।
এ পরিস্থিতিতে প্রাথমিকে মেধা বৃত্তির জন্য যোগ্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে এক যুগ পর ২০২২ সালে আবারও আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। এদিকে, গত আগস্টের শুরুতে এ সিদ্ধান্ত আবার বদলায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয়। ঘোষণা দেওয়া হয়, প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা আর হবে না এবং বৃত্তিও দেওয়া হবে না।