শিশুদের স্কুলে যেতে একমাত্র ভরসা নৌকা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৩, ১১:২৭ AM , আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৩৫ AM
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তাঘাট বৃষ্টি হলেই ডুবে যায়। ফলে চলনবিল অধ্যুষিত এসব স্কুলের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর স্কুলে যাতায়াতে একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে নৌকা। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় শিক্ষার্থীদের। সেই সঙ্গে নৌকা পারাপারে জনপ্রতি শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন গুনতে হয় ১০ টাকা করে।
বিদ্যালয়গুলো হলো—তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের সান্দুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতিরাম চর-কুশাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাটাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শেখপাড়া বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার এসব বিদ্যালয়গুলোতে শিশুদের যাতায়াতের এমন করুণ অবস্থা কয়েক দশক ধরেই। ঝড় বৃষ্টি উপক্ষো করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় নিয়েই কোমলমতি শিশুরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাতায়াত করেন।
তবে তাদের দাবি সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ১ থেকে ২টা বড় নৌকার ব্যবস্থা করলে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার অনেক সুবিধা হবে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় বিল পারি দিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়। অনেক সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় অনেক বাবা-মা তাদের বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দেন।
উপজেলার হামকুড়িয়া পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম বলেন, চলনবিল অঞ্চল হওয়ায় নদীতে বর্ষার পানি কমলেও খাল-বিলসহ বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে থাকে। তাই বছরের বেশির ভাগ সময় নৌকা ছাড়া যাতায়াতের কোনো উপায় থাকে না। ছোট্ট নৌকায় চরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে ছোট-ছোট শিক্ষার্থীরা।
তবে এ সমস্যা কিছুটা লাঘব করার জন্য প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন তহবিল থেকে ২৫ হাজার টাকা ব্যয় করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নৌকা তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এখন ব্রিজ করা সম্ভব হবে না তবে পরবর্তীতে পানি কমলে সেখানে বাঁশের সাকো দিয়ে নিয়মিত চলাচল করার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুসাব্বির হোসেন বলেন, উপজেলার ৬টি প্রতিষ্ঠান চলনবিলের মধ্যে হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নৌকায় পারাপার হতে হচ্ছে। শিগগিরই সকল প্রতিষ্ঠানে নৌকার ব্যবস্থা করা হবে।