০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৫৫

কেন্দুয়ায় ৯০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য, পাঠদান ব্যহত 

কেন্দুয়ার ৯০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণ মর্যাদার প্রধান শিক্ষক নেই  © ফাইল ছবি

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় ১৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৯০টিতে পূর্ণ মর্যাদার প্রধান শিক্ষক নেই। উপজেলা শিক্ষা অফিসে ১৩টি পদের মধ্যে আটটিই খালি। শুধু তিনজন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও দু’জন অফিস সহায়ক দিয়ে চলছে কার্যক্রম। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদানসহ অন্যান্য কার্যক্রম।

জানা গেছে, বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও চলতি দায়িত্বে থেকে একইসঙ্গে দুই দায়িত্ব পালন করছেন। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদেরও। অন্যদিকে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাব্যবস্থা পিছিয়ে পড়ছে। শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করতে হলে শিগগিরই এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণ করা দরকার বলে মনে করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, কেন্দুয়া  উপজেলায় ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ১৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৯০টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য। ৪৭টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষককে চলতি দায়িত্ব দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাজ চালানো হচ্ছে। ৪৩টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।  

তাছাড়া বিভিন্ন বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। সহকারী শিক্ষা অফিসারের সংকট থাকায় সাতটি ক্লাস্টারের কার্যক্রমও ব্যহত হচ্ছে। আর ৯২টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরাসরি বা পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষক হয়েছেন।

পোড়াবাড়ি  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) আব্দুস সাকি জানান, তাঁদের বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য রয়েছে। বর্তমানে  প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে পালন করছেন তিনি। বিদ্যালয় এবং অফিসের কাজ দুটোই করতে হচ্ছে। ফলে বেশি চাপে থাকতে হয়। তাই দ্রুত একজন স্থায়ী প্রধান শিক্ষকের দাবি জানান তিনি।

কেন্দুয়া  উপজেলায় ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ১৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৯০টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য। ৪৭টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষককে চলতি দায়িত্ব দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাজ চালানো হচ্ছে। ৪৩টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।  

কেন্দুয়া প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জহুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জামিরুল হক জানান, উপজেলায় ৯০টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্যসহ শিক্ষা অফিসের উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ  আটটি পদ শূন্য। এতে বিদ্যালয়ে পাঠদানসহ অফিসের কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। শিগগিরই এসব পদ পূরণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান তিনি।

উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বলেন, প্রায় বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের সংকট রয়েছে। তাছাড়া অফিসেও আটটি পদ খালি আছে। এভাবে চললে শিক্ষার গুণগত মান খারাপ হবে। দ্রুত এ শূন্য স্থানে শিক্ষক নিয়োগ করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ১৮২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৯০টিতে স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নেই। অফিসে ১৩টি পদের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ আট পদই শূন্য। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, শূন্য পদগুলো পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হবে। এর একটি প্রক্রিয়া চলছে। নিদিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না, তবে শূন্য পদগুলো তাড়াতাড়ি পুরণ হবে বলে আশা করছি। তাছাড়া অফিসিয়াল পদগুলো শিগগিরই পূরণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।