০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১৮

প্রাথমিকের দুই শিক্ষককে বরখাস্ত, একজনকে অব্যাহতি

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের লোগো  © সংগৃহীত

যশোরের চৌগাছা উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই সহকারী শিক্ষককে চাকরি থেকে চূড়ান্ত বরখাস্ত ও একজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর মধ্যে দুজন শিক্ষক প্রবাসে জীবনযাপন করছেন। 

চৌগাছা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গিয়ে সেখানে বসবাস করায় গত ৩০ আগস্ট চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় বড়খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিশাত মুনাওয়ারাকে। এর আগে ১৬ মার্চ তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সকল প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

সেই সাথে পিটিআই প্রশিক্ষণে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকায় এবং বিদ্যালয়ে যোগ না দেওয়ায় ২ আগস্ট চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় কংশারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারহানা সাত্তারকে। চলতি বছরের ৪ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। এরপর সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে চাকরি থেকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়। 

এছাড়া উপজেলার মাজালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শারমিন সুলতানা জিনিয়া চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি বিদ্যালয়ে যোগদানের পর চীনে লেখাপড়া করার উদ্দেশ্যে চলে যান। পরে চাকরি থেকে ইস্তফার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ আগস্ট তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে ওই পদটি শূন্য ঘোষণা করেন যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম।

এ বিষয়ে চৌগাছা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ওই তিন শিক্ষক অনুমতি ছাড়াই বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি জেলা অবগত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও কারণ দর্শানো নোটিশ করেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। সকল প্রক্রিয়া শেষে দুই জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং একজনের আবেদনের ভিত্তিতে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।