প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এ বছরেই আয়োজনের চিন্তা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলতি বছরেই আয়োজন করতে চায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, দেশের আট বিভাগে তিন ধাপে এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। চলতি আগস্ট মাসে নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত করার দুই মাসের মধ্যে পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তা রয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঠিক করতে শিগগির একটা সভা হবে। সেখানে তারিখ চূড়ান্ত করে জানিয়ে দেওয়া হবে। অক্টোবরের শেষে কিংবা নভেম্বরে এই পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে।
ওই সূত্র আরও জানায়, স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা এবং জাতীয় নির্বাচনের কারণে এ বছর সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করা কঠিন। তবে অসম্ভব নয়। এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হবে সেপ্টেম্বরে। এরপর অক্টোবরের সময়টাতে কোনো পরীক্ষা নেই। কাজেই ওই সময় পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি সভায় চূড়ান্ত করা হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা এ বছরই সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা আয়োজন করতে চাই। এজন্য আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করেছি। বুয়েটসহ অন্যদের সাথেও আলোচনা করবো। সবার সাথে আলোচনা করেই পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।
জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অধিদপ্তরকে কারিগরি সহায়তা দিয়ে থাকে বুয়েট। এজন্য প্রতিবার তাদের সাথে আলাদা করে চুক্তি করা হয়। খুব শিগগিরই বুয়েটের সাথে নতুন করে চুক্তি করবে অধিদপ্তর।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম মাহবুব বলেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, নিয়োগ কার্যক্রমের কারিগরি সহায়তা দেয় বুয়েট। তারা ফলাফল তৈরির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। নতুন করে আমাদের চুক্তি হয়নি।দ্রুতই এটি হয়ে যাবে বলে আশা করছি।
এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ ধাপে আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৪ মার্চ। প্রথম ধাপে আবেদন জমা পড়ে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০টি।
দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মার্চ ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ১৪ এপ্রিল। দ্বিতীয় ধাপে আবেদন জমা পড়ে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮টি।
এরপর ১৮ জুন তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এ ধাপে আবেদন শেষ হয় গত ৮ জুলাই। তৃতীয় ধাপে আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজারের কিছু বেশি।
সাড়ে ৭ হাজার পদে শিক্ষক নিয়োগের অনুমোদন নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই সঙ্গে জানানো হয়- শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনে বেশি সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রাথমিক অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ সংগৃহীত তথ্যানুযায়ী সারাদেশে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের আট হাজার ৬৮টি পদ শূন্য রয়েছে।