স্কুলে ঘুমান শিক্ষকরা, ক্লাস না করেই বাড়ি ফিরছেন শিক্ষার্থীরা
ক্লাস শুরুর সময় হয়েছে। শ্রেণীকক্ষে অপেক্ষা করছেন শিক্ষার্থীরা, কিন্তু দেখা নেই শিক্ষকের। শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের কেউ গল্পে মশগুল, কেউ আবার দুরন্তপনায় মেতেছেন। পরবর্তীতে অফিসকক্ষে গিয়ে দেখা যায় অফিসেই ঘুমাচ্ছেন শিক্ষক।
সম্প্রতি এমনই চিত্র দেখা গেছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বিষমডাঙ্গা বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ ঘটনা শুধু একদিনের নয়, প্রায় প্রতিদিনই ঘটে এমনটা। বিদ্যালয়ে ছয়জন শিক্ষকের মধ্যে একজন শ্রেণীকক্ষে আরেকজন অফিসকক্ষেই ঘুমান। এভাবেই তারা কাটিয়ে দিচ্ছেন বিদ্যালয়ের পুরো সময়। ফলে অনেকসময় ক্লাস না করেই বাড়ি ফিরে যান শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৯০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রধান শিক্ষকসহ বিদ্যালয়ে শিক্ষকের সংখ্যা ছয়জন। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় এবং বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান হওয়ার নিয়ম। কিন্তু দুই শিক্ষক দেবেন্দ্রনাথ মাহাতো ও বিশ্বনাথ মাহাতো ঘুমিয়ে সময় পার করায় সব বিষয়ে পাঠগ্রহণ না করায় বাড়ি ফিরে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের।
আরো পড়ুন: একাদশে ভর্তি আবেদন শুরু ১০ আগস্ট
শিক্ষকদের ঘুমানোর বিষয়টি উল্লেখ করে পঞ্চম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, অন্য শিক্ষকরা ঠিকঠাক ক্লাস নিলেও দেবেন্দ্রনাথ ও বিশ্বনাথ স্যার বেশি ক্লাস নেন না। তারা শ্রেণি ও অফিসকক্ষেই ঘুমান।
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক দেবেন্দ্রনাথ ও বিশ্বনাথ মাহাতো বলেন, ক্লাস বাদ দিয়ে আমরা কখনো ঘুমাই না। ক্লাসে শিক্ষার্থীদের লিখতে দিয়ে একটু চোখ বন্ধ করে থাকি। তাও এমনটা প্রতিদিন না মাঝেমধ্যে হয়।
প্রধানশিক্ষক নৃপেন্দ্রনাথ মাহতো বলেন, শিক্ষকরাতো সবসময় তো ঘুমায় না। যখন ক্লাস না থাকে তখন একটু ঝিমিয়ে যায়।
তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুসাব্বির হোসেন খান ক্লাসের সময়ে শিক্ষকদের ঘুমানোর সুযোগ নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।