প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের বিস্কুটের পাশাপাশি ফল, ডিম, দুধ দেয়ার পরিকল্পনা
‘গ্লোবাল স্কুল মিলস কোয়ালিশনে’ আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (২৪ জুলাই) ইতালির রোমে জাতিসংঘের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ফুড সিস্টেম সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে বাংলাদেশ কোয়ালিশনের কমিটমেন্ট ডিক্লারেশনে স্বাক্ষর করে। বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
এ সময় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর বিস্কুটের পাশাপাশি মৌসুমী ফল, ডিম, দুধ, প্রভৃতি দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানানো হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) কোয়ালিশনে যোগদানের জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে এবং তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
কোয়ালিশনে যোগদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে ব্যাপক পরিসরে ‘স্কুল মিল’ চালু করার যে কর্মপরিকল্পনা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেছে, তা আরও ত্বরান্বিত হবে। সাম্প্রতিক সময়ে এ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক নেগোসিয়েশনের কার্যকর ফসল এটি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে বিনিয়োগ করে আসছে। ২০২২ সাল পর্যন্ত এ কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় ১০৪টি উপজেলার ৩০ লাখেরও বেশি শিশুকে পুষ্টিকর বিস্কুট সরবরাহ করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এর মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ৪.২ শতাংশ বৃদ্ধি এবং ঝরে পড়ার হার ৭.৫ হ্রাস পেয়েছে।
তিনি বলেন, এ কর্মসূচির অভাবনীয় সাফল্যের ধারাবাহিকতায় সরকার আগামী তিন বছরে ১৫০ উপজলার ২০ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৫ লাখেরও বেশি শিশুর মাঝে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে। নতুন এ কর্মসূচিতে পুষ্টিকর বিস্কুটের পাশাপাশি মৌসুমী ফল, ডিম, দুধ, প্রভৃতি দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। উন্নয়ন সহযোগীদের আর্থিক সহযোগিতা পেলে আরও বিস্তৃত পরিসরে এ কর্মসূচি চালু করা সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ৮৫তম দেশ হিসেবে ‘গ্লোবাল স্কুল মিলস কোয়ালিশনে’ যোগদান করেছে।