অনুমতি ছাড়া প্রাথমিকের শিক্ষকরা নতুন চাকরিতে আবেদন করলে মামলা
সরকারি, আধা-সরকারি বা বেসরকারি চাকরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে অন্য সরকারি চাকুরিজীবীদের মতো প্রাথমিকের শিক্ষকদেরও অনুমতি নেওয়ার বিধান থাকলেও তা মানছেন না প্রাথমিকের শিক্ষকরা। এবার এই ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বিধান অমান্য করলেই ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হবে।
সরকারি চাকরিতে থাকাবস্থায় অন্য চাকরিতে আবেদনের বিধান অনুযায়ী, সরকারি যে কোনো চাকরিতে থাকা অবস্থায় অন্য সরকারি, আধা-সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করার ক্ষেত্রে আগে কর্মরত বিভাগের অনুমতি নিতে হয়।
আরো পড়ুনঃ ঢাবির সমন্বিত বিষয় মনোনয়নের তারিখ ঘোষণা, ফি না দিলে বাতিল
অভিযোগ রয়েছে, প্রাথমিকের শিক্ষক-কর্মচারীদের অনেকেই এই বিধান মানছেন না। অনুমতি ছাড়াই শিক্ষকদের মধ্যে কেউ কেউ অন্য চাকরির জন্য লিখিত কখনো মৌখিক পরীক্ষা পর্যন্ত দিয়ে দিচ্ছেন। চূড়ান্ত পর্যায়ে যাওয়ার পর অনুমতির জন্য আবেদন করছেন।
বিষয়গুলো জানার পর কঠোর নির্দেশনা দিয়েছ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বলেছে, অনুমতি ছাড়া চাকরির আবেদন করলেই বিভাগীয় মামলা হবে। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেশের সব জেলা-উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
শামস্ উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং অধিদপ্তরাধীন মাঠপর্যায়ে কর্মরত কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় চাকরি পরিবর্তনের জন্য সরকারি কর্ম কমিশন এবং বিভিন্ন সরকারি আধা-সরকারি সংস্থায় নিয়োগের জন্য আবেদন করে থাকেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আবেদনকারী লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার পর মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনুমতির জন্য আবেদন করেন। মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আগে আবেদন করা সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধি পরিপন্থি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।