গাছের যত্ন না নিলে পরীক্ষায় ৫০ নম্বর কাটা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্লাবের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন ফলজ গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের সীমান্ত লাগোয়া ধলেশ্বর গ্রামে আকছির এম চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীদের এসব চারা দেওয়া হয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুকি মোকাবেলা, সৌন্দর্যবর্ধন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে সবুজ পরিবেশ গড়তে এ কর্মসূচী বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। এসময় তাদেরকে গাছের চারা দিয়ে বলা হয়- গাছের যত্ন নিলে ফাইনাল পরীক্ষায় তাদের অতিরিক্ত পঞ্চাশ নাম্বার দেওয়া হবে। আর গাছের যত্ন না নিলে পরীক্ষার মোট নাম্বার থেকে পঞ্চাশ নাম্বার কর্তন করা হবে। শিক্ষার্থীদের বনায়নে আগ্রহী করে তোলতেই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট আকছির এম চৌধুরী বলেন,পরিবেশ রক্ষার জন্য সবাইকে বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে।বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের দেশে জনসংখ্যার অধিক চাপে পড়ে বেশিরভাগই ফসলি জমি উজাড় করে তৈরি করা হচ্ছে ঘরবাড়ি। প্রতিনিয়ত কাটা হচ্ছে গাছপালা। মানছে না কেউ বন বিভাগের নিয়মনীতি। তাই পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। এভাবে ব্যাপকহারে গাছপালা ও ফসলি জমি বিলীন হতে থাকলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, আগের দিনে চারদিকে যে গাছপালা দেখা যেত, তার ৩ ভাগের একভাগও এখন দেখা যায় না। এভাবে চলতে থাকলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। এমনিতে বর্ষা মৌসুমে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলই পানিতে প্লাবিত হয়। সবুজ-শ্যামল এ দেশটা আগের মতো আর নেই। যেসব গুণের কারণে আমাদের এ দেশকে সবুজ-শ্যামল বলা হতো তার বেশিরভাগেই ছিল চারদিকে ঘন গাছপালা আর সবুজের সমারোহ। এখন সেই সবুজ-শ্যামল রূপ খুব কমই চোখে পড়ে।
সংগঠনটির আহবায়ক রুবেল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুপ্রম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আকছির এম চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন এশিয়া সানি ইন্ডাস্ট্রি ইন্টারন্যশনাল কোঃ লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার জেসি জ্যাং ও মরটন সেনেটারিওয়ার ম্যানুফেকচার লিমিটেডের সেলস ম্যানেজার পেনসন সি।
অনুষ্ঠান শেষে দুজন বিদেশি নাগরিক পাঠাগার চত্বর ও আকছির এম চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ঔষধি গাছ ও ফলজ গাছ রোপন করেন।