০৬ জুন ২০২৩, ০০:০৩

বিদ্যালয় পরিষ্কার করতে গিয়ে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী আহত

আহত ছাত্রী  © টিডিসি ফটো

নেত্রকোনা বারহাট্টায় যশমাধব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের নির্দেশনায় এক বেঞ্চ আরেক বেঞ্চের উপর তোলার সময় তাহিরা তাবাচ্ছুম নিরুমা নামে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বেঞ্চ থেকে পড়ে যান। এ সময় তার উপরেও পড়ে যায় আরেকটি বেঞ্চ ।

এতে ওই শিক্ষার্থী মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত পেয়ে ছুটি নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। বাড়িতে আসার পর শুরু হয় বমি। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে প্রথমে বারহাট্টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। সেখানেও বমি হলে পরেরদিন উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন চিকিৎসক।

এমন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওই শিক্ষার্থীর বাবা রাশেদুল হাসান ইবন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রবিবার (৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত আমার মা হারা মেয়েটা মারা যেতে পারতো। সারারাত বারহাট্টা হাসপাতালে থাকার পরেরদিন সোমবার (৫ জুন) সকালের দিকে মমেক হাসপাতালে ভর্তি শেষে মেয়ের সিটিস্কেন করানো হয়েছে। এখনো জানি কি ধরণের রিপোর্ট আসবে। বাড়িতে বমি শুরু হলে শিক্ষকদের অবগত করা হলেও তারাও তেমন একটা গুরুত্ব দেয়নি।

রাতে বারহাট্টা হাসপাতালে আনার পরে কয়েকজন সাংবাদিক, শিক্ষক ও তাদের কর্মকর্তাদের ফোন দেয়। পরে শিক্ষক ও কর্মকর্তারা খোঁজ নিতে আসেন। এর আগে ঘটনার সাথে সাথে স্কুলের কোন শিক্ষকও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি বরং অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেওয়ার অভিযোগ রাশেদুল হাসানের।

যশমাধব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তুষার চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে বাচ্চাটার ইনজুরি মনে হয়নি। যেমনটা বাচ্চারা পড়ে গিয়ে ব্যথা পায় এই রকম স্বাভাবিক মনে হয়েছে। শেষ ক্লাশের এক ক্লাশ আগে ছুটি নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বমি করেছে। এই মুহুর্তে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে আছি। পরে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।

বারহাট্টা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু রায়হান জানান, স্কুল পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার একটা অংশ। শিক্ষার্থীও বুঝতে পারে নাই বেঞ্চ থেকে পড়ে যাবে। তবে শিক্ষক নিজে সামনে থেকে কাজটা করালে ভাল করতেন। এটা এক ধরণের অভিজ্ঞতা। শিক্ষককে ডেকে সতর্কীকরণ করার কথা জানান তিনি।