১২৮ মাদ্রাসার তথ্য সংগ্রহ, জাতীয়করণ চান ইবতেদায়ী শিক্ষকরা
‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি: একটি সমীক্ষা’- এর অধিনে দেশের ৩২ টি উপজেলার ১২৮ টি মাদ্রাসা থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইআর) গবেষণা দলের সঙ্গে আলোচনা করে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক নেতারা।
ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কতৃক গঠিত গবেষণা টিম সরজমিনে মাদ্রাসাগুলোতে গিয়ে দলিল-নথি পত্র, ভবন, জাতীয় পতাকা, শিক্ষকদের পাঠদান পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ করেন। মাদ্রাসা শিক্ষকরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে গবেষণা টিমকে সহযোগিতা করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা সমীক্ষার কাজ করছি। ইতোমধ্যে তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর আমরা মাদ্রাসা বোর্ডে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেব।’
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোকে নিয়ে স্ট্যাডি করছে। এজন্য একটি গবেষণা কর্ম শুরু হয়েছে। গবেষণার প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ শেষ হয়েছে। এই গবেষণার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা আশাবাদী সরকার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলো জাতীয়করণ করবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কায়সার আহমেদ বলেন, আমাদের দেশে দুই ধরনের ইবতেদায়ী আছে। কিছু মাদ্রসার শিক্ষকরা অল্প কিছু অনুদান পান। আর কিছু মাদ্রাসার শিক্ষকরা অনুদান পান না। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে একটি সমীক্ষা করছি। এই সমীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হবে।
মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্ত বা জাতীয়করণ হবে কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, আপাদত শিক্ষকদের সুযোগ বাড়ানোর চিন্তা রয়েছে। এমপিওভূক্তি কিংবা জাতীয়করণের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রসঙ্গত, প্রায় চার দশক ধরে পাঠদান করেও বেতন বঞ্চিত রয়েছেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার ২০ হাজার শিক্ষক। ১৯৮৪ সালে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে অনুমোদন পেলেও এখন পর্যন্ত এমপিওভুক্ত হয়নি মাদ্রাসা শিক্ষার প্রাথমিক স্তরের এ প্রতিষ্ঠানগুলো। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় ক্রমেই কমেছে ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সংখ্যা। অনেক শিক্ষক দীর্ঘকাল চাকরি করে বিনা বেতনে গিয়েছেন অবসরে।