ভেরিফিকেশন চলমান রেখে নিয়োগ পাচ্ছেন ৩৭ হাজারের বেশি শিক্ষক

ক্লাস নিচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষক
ক্লাস নিচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষক  © ফাইল ফটাে

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হবে। তবে ভেরিফিকেশন চলমান রেখেই এই শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেবল ডোপ টেস্টের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। 

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে আলাপকালে এসব তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

জানা গেছে. সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত ৩৭ হাজারের বেশি পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হবে। সরকারি চাকরির নিয়োগ বিধি অনুযায়ী এই ভেরিফিকেশন করা হবে। চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণদের আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ডোপ টেস্টের রিপোর্ট, স্বাস্থ্যগত সনদ ও পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করে সব সনদসহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে উপস্থিত হতে হবে। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচিত প্রার্থীদের আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৩ সেট পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে জমা দিতে হবে। কোনো প্রার্থীর পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্টে পূর্ব কার্যকলাপ সন্তোষজনক না হলে কিংবা নাশকতা, সন্ত্রাসী বা জঙ্গি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত বা রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যক্রমে লিপ্ত ছিলেন বলে প্রতীয়মান হলে তিনি চাকরিতে অনুপযুক্ত হবেন। এছাড়া সব সনদের মূলকপি, জাতীয় পরিচয়পত্র, সিভিল সার্জনের দেয়া স্বাস্থ্য উপযুক্ততার সনদ এবং ডোপটেস্ট রিপোর্ট দিতে হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোটার সনদসহ সশরীরে উপস্থিত হতে হবে।

এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, কোনো শিক্ষকের পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট খারাপ আসলে তিনি চাকরির অনুপযুক্ত বলে ধরা হবে। সরকারি চাকরিতে এই ভেরিফিকেশন আগে থেকেই করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষকদের এটি প্রথম।

সাড়ে ৩৭ হাজারের বেশি শিক্ষকের ভেরিফিকেশন অনেক লম্ব প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমরা ধারণ করছি ৬ মাস থেকে এক বছরের মধ্যে শিক্ষকদের ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হবে। তবে আমরা ভেরিফিকেশন চলমান রেখেই শিক্ষকদের যোগদানের সুযোগ দেব। ভেরিফিকেশন রিপোর্ট খারাপ আসলে পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী। নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেওয়া হলেও চূড়ান্ত ফলাফল একবারেই প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন।


সর্বশেষ সংবাদ