বৃত্তি পরীক্ষায় শুধু ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ বাতিল চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

  © সংগৃহীত

প্রত্যেক স্কুলের ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিধান বাতিল করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট-এর পক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ইমেইলে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে প্রতিকার চেয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নোটিশে।

লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির। ‍বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী নিজে।

আরও পড়ুন: মেসির জন্ম ভারতে বলে দাবি করলেন কংগ্রেস নেতা

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার প্রকাশিত নির্দেশনা অনুযায়ী, মেধা যাচাইয়ের জন্য প্রত্যেক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে স্কুলের শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ প্রধান শিক্ষক মনোনয়ন দেবেন। বাকি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।

লিগ্যাল নোটিশ বলা হয়, এই বিধানটি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের অন্তরায়, বৈষম্যমূলক, নিপীড়নমূলক এবং শিক্ষার্থীদের অধিকারের পরিপন্থি। এ ধরনের অযাচিত এবং অযৌক্তিক মানদণ্ড নির্ধারণ করায় সারাদেশের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এবং হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। অনেক কোমলমতি শিক্ষার্থী কান্নায় ভেঙে পড়েছে। ফলশ্রুতিতে এসব কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যৎ শিক্ষা কার্যক্রমে অনুৎসাহিত হবে যা জাতির জন্য মোটেই কাম্য নয়।

এসব উল্লেখ করে ১২ ঘণ্টার মধ্যে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগের বিধান বাতিল করে আগ্রহী সব শিক্ষার্থীর জন্য পরীক্ষা উন্মুক্ত করতে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ