প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে পদ বাড়ছে ৫ হাজার
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার ফল আগামী বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রকাশ করা হবে। ৫ হাজার পদ বাড়িয়ে সাড়ে ৩৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ৩২ হাজার ৫৭৭ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ২০২২ সালের মার্চ মাসে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এ বছর মোট ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বিজ্ঞপ্তির সময় উল্লেখ করা ৩২ হাজার ৫৭৭টি পদে শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে চাকরি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিলে তারা আন্দোলন শুরু করেন। চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দফায় দফায় ফল প্রকাশের তারিখ পেছানো হয়। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে পদ সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পদসংখ্যা পর্যালোচনার কাজ শেষ হয়েছে। এতে দেখা গেছে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলে অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট থেকেই যাচ্ছে। তাই পদসংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওই সূত্র আরও জানায়, প্রায় ৫ হাজার পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সাড়ে ৩৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। আগামী বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের পদসংখ্যা পর্যালোচনা শেষে ৫ হাজার পদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী বুধবার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ করা হবে।
তথ্যমতে, প্রায় ১৩ লাখ ৯ হাজার চাকরিপ্রার্থী প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করেন। সারা দেশে তিনটি ধাপে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব ধাপে সব মিলিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৮২৫ জন। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ৪০ হাজার ৮৬২, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ ও তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের পরবর্তী মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মৌখিক পরীক্ষা এবং লিখিত পরীক্ষার ফল একসঙ্গে করে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। চূড়ান্ত ফল তৈরির কাজটি করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।