প্রাথমিকে সর্বোচ্চসংখ্যক পদ বৃদ্ধির দাবি চাকরিপ্রার্থীদের

পদসংখ্যা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা
পদসংখ্যা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা  © ফাইল ফটাে

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে পদসংখ্যা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন ফলাফলের অপেক্ষায় থাকা চাকরিপ্রার্থীরা। এই দাবিতে রোববার (৪ ডিসেম্বর) ৫৭ জেলায় জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।

স্মারকলিপিতে চাকরিপ্রার্থীরা জানান, ‘‘চলতি বছরের এপ্রিল থেকে প্রাথমিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসবিহীন নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে শূন্য পদ পূরণের অপরিহার্যতা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদায়ী সচিব আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, বর্তমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকসংকট নিরসনে ৫৮ হাজারের মতো শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীও অবসরের কারণে পদসংখ্যা বাড়ানোর কথা বলেছিলেন। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অধিকাংশ প্রার্থীর সরকারি চাকরির বয়সসীমা শেষ হওয়ার পথে এবং অনেকের বয়সসীমা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। তাই এ পরীক্ষার চূড়ান্ত নিয়োগের মাধ্যমে বয়সসীমা শেষ হওয়ার পথে থাকা প্রার্থীদের সংকটের সমাধান জরুরি।’’

স্মারকলিপিতে তারা আরও জানান, ‘‘বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষাগুলোতে সাধারণত লিখিত পরীক্ষায় প্রতি তিনজনে একজনকে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হতো। এ ছাড়া চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে ২০২৩ সালের মধ্যে দেড় লক্ষাধিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে চলমান নিয়োগে পদসংখ্যা বৃদ্ধির দাবি রাখে। এ ছাড়া ২০১৮ সালেও ১২ হাজার পদে নিয়োগের কথা থাকলেও বাস্তবতার নিরিখে ১৮ হাজারের বেশি প্রার্থীকে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হয়। বর্তমান নিয়োগ কার্যক্রম দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলছে। এরই মধ্যে অনেকে অন্য চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের অনেকেই এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে হয়তো যোগদান করবেন না। তাই চূড়ান্ত ফলাফলের পর যতসংখ্যক উত্তীর্ণ প্রার্থী চাকরিতে যোগদান করবেন না, সেই শূন্য পদগুলোর জন্য ‘অপেক্ষমাণ তালিকা’ রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২০-এ পদসংখ্যা যথাসম্ভব বাড়িয়ে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সর্বোচ্চসংখ্যক নিয়োগদানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’’


সর্বশেষ সংবাদ