২৫ নভেম্বর ২০২২, ১০:১৭

যে কারণে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশে বিলম্ব

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ হেতে পারে আগামী সপ্তাহে  © ফাইল ছবি

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) প্রকাশ হতে পারে বলে গুঞ্জন ওঠে। তবে শেষ পর্যন্ত এটি প্রকাশ হয়নি। এ জন্য টেকনিক্যাল কারণ দায়ী বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) কর্মকর্তারা। চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের কারণেও ফল প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ফল প্রকাশের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) গিয়েছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। তার সঙ্গে ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতসহ কর্মকর্তারা। তবে পদ সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে চাকরিপ্রার্থীরা প্রধান ফটকে অবস্থান নেওয়ায় অধিদপ্তরে যাননি তারা। ফলে ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তারা। 

বৃহস্পতিবার সকালে ফল প্রকাশের গুঞ্জন উঠলে যোগাযোগ করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তার কাছে কোনও তথ্য নেই। পরে মহাপরিচালক জানান, ফল প্রকাশের প্রস্তুতি থাকলেও টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে তা সম্ভব হয়নি। আগামী সপ্তাহে ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।

অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ফল প্রকাশ করার খবরে বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী ঘোষিত বাড়তি পদসহ নিয়োগের দাবিতে প্রধান ফটকে অবস্থান নেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শেষ মুহূর্তে ফল প্রকাশ না করার নির্দেশ দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ। আগামী সোমবার ফলাফল প্রকাশ হতে পারে বলে তারা জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন: প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ফল কবে, যা বললেন ডিপিই মহাপরিচালক

২০২০ সালে এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় পদ সংখ্যাও জানিয়েছিল অধিদপ্তর। সে সময় ডিপিই জানিয়েছিল, ৩২ হাজার ৫৭৭টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে করোনাভাইরাসের কারণে তখন পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। দীর্ঘদিন নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রাথমিকে আরও ১০ হাজার পদ শূন্য হয়।

পরবর্তীতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পদ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়। বৈঠকের পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক কর্তাব্যক্তি ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কথা জানান। তবে শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় ঘোষিত পদেই নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।