যে কারণে ১৩ হাজার কম নিয়োগ হচ্ছে প্রাথমিকে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে কত সংখ্যক পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে সেটি জানিয়ে দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। পদ সংখ্যা কম হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় পদ সংখ্যাও জানিয়েছিল অধিদপ্তর। সে সময় ডিপিই জানিয়েছিল, ৩২ হাজার ৫৭৭টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে করোনাভাইরাসের কারণে তখন পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।
দীর্ঘদিন নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রাথমিকে আরও ১০ হাজার পদ শূন্য হয়। পরবর্তীতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পদ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়। বৈঠকের পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক কর্তাব্যক্তি ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কথা জানান।
এমনকি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদ্য বিদায়ী সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলামও পদ সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছিলেন। তবে মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তার কারণে সেই উদ্যোগ ভেস্তে গেছে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আমরা ৪৫ হাজার পদেই শিক্ষক নিয়োগ দিতে চেয়েছিলাম। পদ সংখ্যা ৪৫ হাজার ধরেই লিখিত পরীক্ষা দেড় লাখ প্রার্থীকে উত্তীর্ণ করা হয়েছিল। ১:৩ ফরম্যাটে নিয়োগ হওয়ার কথা ছিল। তবে কিছু কর্মকর্তার আপত্তির কারণে শেষ সময় সেটি বাতিল করা হয়েছে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পদ সংখ্যা বাড়ছে না। পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। চলতি নভেম্বর মাসে ফল প্রকাশের চেষ্টা করা হচ্ছে।
পদ সংখ্যা না বাড়ানোর কারণ জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।