শিক্ষকের থাপ্পরে স্কুলছাত্রীর কানের পর্দা ফাটার শঙ্কা
শিক্ষক নারগিস পারভীনের থাপ্পড়ে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী পান্না খাতুনের। অভিযুক্ত শিক্ষক যশোরের চৌগাছার বহিলাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এবং সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হায়দার আলীর তদন্তে এ ঘটনার প্রমাণ মিলেছে।
আজ মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীকে তার মা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যান। পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন। তারপরই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এদিন জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবরও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষার্থীর মা। সহকারী শিক্ষক নারগিস পারভীন থাপ্পড় মেরেছেন বলে স্বীকার করেছেন তদন্ত চলা কালীন সময়ে।
আরও পড়ুন: র্যাংকিংয়ে ভারত-পাকিস্তানের ধারেকাছেও নেই বাংলাদেশ
লিখিত অভিযোগে শিক্ষার্থীর মা এবং লিখিত সাক্ষ্যে শিক্ষার্থী পান্না খাতুন জানান, গত রবিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুর রহমান ওই বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। তিনি যখন অফিসে বসে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলছিলেন তখন সহকারী শিক্ষক নারগিস পারভীন ওই শিক্ষার্থীকে একটি ঝাটা এনে দিতে এবং আরেক শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের সিঁড়ি ঘর ঝাড়ু দিতে বলেন। তখন শিক্ষক নার্গিস পান্নার বাম কানে তিনটি থাপ্পড় মারেন।
চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আকিব হোসেন জানান, মেয়েটির কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কানের মধ্যে পানি জমে রয়েছে। ওষুধ দেওয়া হয়েছে। শুকালে ভালভাবে বোঝা যাবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিষয়টি তাৎক্ষণিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করছি। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে। তিনি নির্দেশ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।