প্রাথমিকের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের সময় কমছে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২২, ১০:৩৬ AM , আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২২, ১০:৩৬ AM
দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ১৮ মাস মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) প্রশিক্ষণের পরিবর্তে ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করতে যাচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ পিটিআই কর্মকর্তা সমিতির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ পিটিআই কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ও আইনবিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেওয়া হয়েছে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের সময় কমানো জাতীয় শিক্ষানীতির পরিপন্থী। এটি হলে শিক্ষকরা মৌলিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবেন না। এতে প্রাথমিক শিক্ষার মান আরো কমে যাবে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ১৯৭৪ সালে জাতীয় শিক্ষানীতিতে পিটিআইগুলোকে কলেজে রূপান্তর করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেখানে দুই বছরের প্রশিক্ষণ কোর্স করার কথা উল্লেখ করা হয়। এরপর ২০১০ সালের শিক্ষানীতিতে ১৮ মাস মেয়াদি ডিপিএড কোর্স চালুর কথা বলা হয়।
আরও পড়ুন: চিপস কিনতে গিয়ে নিখোঁজ, তিন দিন পর মিললো শিশুর লাশ।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র হতে জানা যায়, ডিপিএড কোর্সটি বাতিল করে এখন ছয় মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে দুই মাস বিদ্যালয়ে, আর চার মাস পিটিআইতে প্রশিক্ষণ নেবেন শিক্ষকরা। আগামী জানুয়ারি থেকে এই প্রশিক্ষণ কার্যকর করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অপরদিকে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রশিক্ষকরা। সংশ্লিষ্টদের মতে, এ সিদ্ধান্তের ফলে প্রাথমিকের শিক্ষকদের শিক্ষাবান্ধব প্রশিক্ষণে ঘাটতি তৈরি হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজশাহী প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের একজন প্রশিক্ষক বলেন, ১৮ মাসের প্রশিক্ষণ কোর্সের সময় কমিয়ে ছয় মাস করা হলে শিক্ষকরা মানসম্মত প্রশিক্ষণ পাবেন না। এতে ভবিষ্যতে মানসম্মত শিক্ষকও পাওয়া যাবে না।
তবে শিক্ষক প্রশিক্ষণের কোর্স এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।