শিক্ষক বদলিতে আর্থিক লেনদেন না করতে সতর্কতা

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর   © সংগৃহীত

সারা দেশে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষক বদলির আবেদন গ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছে। তবে এই বদলিকে কেন্দ্র করে সক্রিয় রয়েছে অসাধু গোষ্ঠী। তারা অর্থের বিনিময়ে বদলি সংক্রান্ত কাজ ও তদবিরবাজির চেষ্টা করছে। এদের বিষয়ে সতর্ক করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

রোববার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মনীষ চাকমার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইনে বদলিতে আর্থিক লেনদেন বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে অনলাইনে শিক্ষক বদলি কার্যক্রম (একই উপজেলার মধ্যে) চালু হয়। সেই আবেদনের সময়সীমা ৬ অক্টোবর শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে তথ্যাদি হালনাগাদ করাসহ কারিগরি উন্নয়নের জন্য শিক্ষক বদলির কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রয়েছে।’

আরও পড়ুন: কোটায় প্রধান শিক্ষক হবেন প্রাথমিকের ৬৫ শতাংশ শিক্ষক

বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান অবস্থায় সুযোগ সন্ধানী মহল বদলিকে কেন্দ্র করে ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির হীন অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অনলাইন বদলি কার্যক্রমটি পুরোপুরি সফটওয়্যার-নির্ভর।

‘এই কার্যক্রমে ব্যক্তিগতভাবে কাউকে কোনোভাবে বিশেষ সুবিধা প্রদান বা বঞ্চিত করার সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেনে জড়িত না হতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করা হলো।’

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিপত্র অনুযায়ী, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একই উপজেলার মধ্যে অনলাইনে বদলি কার্যক্রম চালু হয়। ওই পরিপত্র অনুযায়ী আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আবেদনের সময় ৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ৩০ জুন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অনলাইনে বদলি কার্যক্রমের পরীক্ষামূলক উদ্বোধন করেন।

সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন প্রায় পৌনে চার লাখ। নতুন করে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ