প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়নি
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই নিয়োগে পদ সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিকালে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে আলাপকালে এ কথা জানান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের একাধিক গ্রুপে প্রাথমিকে ৫৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার তথ্য ছড়ানো হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য ছড়ানো হলেও এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ডিপিই মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, প্রাথমিকে ৫৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত পেলে পরবর্তীতে জানানো হবে।
কবে নাগাদ এ নিয়োগের চূড়ান্ত ফল দেওয়া হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, নভেম্বর মাসের মধ্যেই আমরা নিয়োগের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করবো। তবে নির্দিষ্ট করে কোনো তারিখ বলা যাচ্ছে না। কেননা আপনারা জানেন, আমরা তথ্য পাওয়ার পর সেটি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছি। তারাই চূড়ান্ত ফল তৈরির কাজ করছে। সেজন্য নির্দিষ্ট করে কোনো তারিখ বলা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এগুলোতে মোট শিক্ষক আছেন প্রায় পৌনে চার লাখ। এখন নতুন করে আরও ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
এ নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেওয়া হলেও চূড়ান্ত ফল একবারেই প্রকাশ করা হতে পারে। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন। এ নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী।