প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ করা হবে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে: প্রতিমন্ত্রী
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার জন্য প্রয়োজন মানসম্মত শিক্ষক। তাই বর্তমান সরকার মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে।
তিনি আরও বলেন, এবারে যে সকল শিক্ষক নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন তারা আগামী প্রায় ৩৫ বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি পাঠদান পরিচালনায় নিয়োজিত থাকবেন। তাঁদের হাতেই গড়ে উঠবে ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের কারিগর। তাই শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। অন্যথায় মানসম্মত শিক্ষক পাওয়া যাবেনা এবং তাঁদের হাতে গড়ে উঠা প্রজন্মের কাছ থেকে কাঙ্খিত সেবা পাওয়া যাবে না।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা পরিচালনার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর হতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা পরিচালনা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। প্রতিটি দায়িত্ব সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম নিয়োগ বিধি অনুসরণপূর্বক সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সাথে সম্পন্ন করা হয়। প্রার্থীদের রোল নম্বর, আসন বিন্যাস, প্রশ্নপত্র প্রেরণ ও মুদ্রণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল প্রস্তুতসহ যাবতীয় কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হয়। এক্ষেত্রে কোন ধরণের অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। কেউ অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখালে তাকে নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করা অথবা থানা বা গোয়েন্দা সংস্থাকে অবহিত করার জন্য তিনি দেশবাসির প্রতি অনুরোধ জানান।
লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যম আগামী জুলাইয়ের মধ্যে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগদানে প্রতিমন্ত্রী সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, তিন ধাপে সহকারি শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (২২ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্যায়ে ২২ টি জেলার মধ্যে ১৪ জেলার সকল এবং ৮ জেলার আংশিক পরীক্ষা নেয়া হবে। পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নিয়োগ পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লাখা ৯ হাজার ৪৬১ জন এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ১৮১১টি।