স্যার আবেদ ছিলেন একজন ভিশনারি মানুষ: প্রতিমন্ত্রী জাকির

ব্র্যাক প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ (বামে) ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন
ব্র্যাক প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ (বামে) ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন  © সংগৃহীত

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, স্যার ফজলে হাসান আবেদ ছিলেন একজন ভিশনারি মানুষ। তিনি অনেক কিছু অনেক আগে দেখতে পেয়েছেন, সেটা শিক্ষা ক্ষেত্রে বলেন, আর স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বলেন। মানুষের জীবন পরিবর্তনে যত কিছু প্রয়োজন হয়, প্রত্যেক কাজে তিনি শরীক হয়েছেন। শুধু ছোটখাটো দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য নয়, সব মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করে গেছেন এবং তিনি সফলও হয়েছেন।

ব্র‍্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ স্মরণে আজ বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) ব্র্যাক স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষিকাদের রচনা-সংকলন ‘প্রতিভা’র বিশেষ সংখ্যার প্রকাশনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবেদ ভাইকে সব সময়ই বলতেন শুনেছি , প্রতিটি মানুষের ভেতরেই অনেক শক্তি আছে, আছে অনেক সম্ভাবনা। সেই শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। সম্ভাবনাকে বিকশিত করতে হবে। তাহলে মানুষ আর গরিব থাকবে না। নানা কাজ করে মানুষ আয় রোজগার করবে। আস্তে আস্তে তাদের অভাব ঘুচে যাবে। তাদের জীবন বদলে যাবে।' বাস্তব জীবনে দেখা গেছে ফজলে হাসান আবেদ যা বলতেন তা তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে করে দেখিয়েছেন।

মো. জাকির হোসেন বলেন, শিক্ষার প্রতি স্যার ফজলে হাসান আবেদের ছিল গভীর অনুরাগ। তিনি বিশ্বাস করতেন অল্প সময়ের মধ্যে যেসব বিষয় মানুষের জীবন পাল্টাতে পারে, শিক্ষা তার মধ্যে অন্যতম। এজন্য তিনি ব্র্যাকের শুরু থেকেই শিক্ষা কার্যক্রমের নব নব উদ্ভাবন ও এর উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। বয়স্ক শিক্ষা, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা মডেলে শিশুশিক্ষা, শিখনসমাজ গঠনে গণকেন্দ্র পাঠাগার স্থাপন এবং কিশোর-কিশোরী উন্নয়নে কিশোরী ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিটি বিষয়ই তাঁর নিজস্ব চিন্তার প্রতিফলন। বাংলাদেশের হাওড়-বাওড়, চরাঞ্চল এবং দুর্গম পাহাড়ের বিস্তীর্ণ জনপদের অবহেলিত প্রতিটি শিশু যাতে শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়ে ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে পারে সেজন্য তাঁর ছিল গভীর মমতা। এ লক্ষ্যে অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে সারা দেশে হাজার হাজার স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই সকল স্কুলের শতভাগ শিক্ষক নারী। নারী উন্নয়ন ও নরীর ক্ষমতায়নে এটিও ছিল তাঁর একটি নব উদ্ভাবন।

প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন আরো বলেন, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি সাহিত্য-সাংস্কৃতিক চর্চা ও অনুশীলনের ব্যবস্থা স্যার আবেদ রেখেছেন যাতে শিক্ষার্থীরা এই চর্চার মাধ্যমে নিজেদের সুকুমার বৃত্তির বিকাশ ঘটাতে পারে।

অনুষ্ঠানে ব্র‍্যাক এর নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক তপন কুমার ঘোষ, কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন এবং শিশু সাহিত্যিক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব আলী ইমাম বক্তৃতা করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির পরিচালক ড. শফিকুল ইসলাম।


সর্বশেষ সংবাদ