উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান মিলন
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান মিলন  © টিডিসি ফটো

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান মিলনকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক জরুরি বার্তায় বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাকে ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলায় যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বহুল আলোচিত শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ২০১৯-২০ অর্থবছরে শিক্ষা অধিদপ্তরের দেওয়া বরাদ্দের অর্থ বিদ্যালয়গুলোর অনুকূলে ছাড় করার ক্ষেত্রে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ঘুষ আদায়ের অভিযোগ ওঠে।

এসময় হাবিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাইসহ অসংখ্য প্রধান শিক্ষক ঘুষ আদায়ের বিষয়ে সরাসরি শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মুখ খোলেন।

এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে স্লিপ খাতের বরাদ্দ থেকে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন সরবরাহের অজুহাতে আলোচিত ওই কর্মকর্তা ১৯১টি বিদ্যালয়ের তরফ থেকে ২৭ লাখ টাকা অর্থ হাতিয়ে নেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

আরও অভিযোগ রয়েছে, শ্যামনগর উপজেলার সাবেক ও বর্তমান কিছু শিক্ষক নেতার সহায়তা নিয়ে এ শিক্ষা কর্মকর্তা গত তিন বছরে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এক ব্যবসায়ী শিক্ষক নেতার সঙ্গে যোগসাজশে আক্তারুজ্জামান গত তিন বছরে শ্যামনগর উপজেলায় শিক্ষকদের বদলি বাণিজ্যের সুযোগ নিয়ে আরও প্রায় অর্ধ কোটি টাকা বাণিজ্য করেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ