প্রাথমিক শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড, শিগগিরই জটিলতা নিরসন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে নির্ধারণের জটিলতার বিষয়টি শিগগিরই নিরসন হচ্ছে। এজন্য তাদের বেতন পেতে আর সমস্যা থাকছে না।
জানা গেছে, সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত সফটওয়্যার ‘আইবাস প্লাস প্লাস‘ সফটওয়্যার মডিউলের সিস্টেমে ১৩তম গ্রেডের উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণ সংক্রান্ত বিষয়টি সংযোজন (ইমপুট) করা হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আদেশ জারি করে বিষয় শিক্ষকদের জানিয়ে দেবে।
সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত সফটওয়্যার ‘আইবাস প্লাস প্লাস’ মডিউল অনুযায়ী ১৩তম গ্রেডের নিম্নধাপে সহকারী শিক্ষকদের বেতন নির্ধারিত হয়। ফলে শিক্ষকরা সফটওয়্যারে নিজেদের উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণ করতে পারছিলেন না।
সফটওয়্যার আপডেট করে অর্থ বিভাগকে এই সমস্যা সমাধান করতে অনুরাধ জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। অর্থ বিভাগ সফটওয়্যার ‘আইবাস প্লাস প্লাস’ মডিউলের সিস্টেমে প্রাথমিক শিক্ষকদের উচ্চধাপে মূল বেতন নির্ধারণের বিষয়টি সংযোজন করছে।
দেশের ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৫২ হাজার সহকারী শিক্ষক জাতীয় বেতন স্কেলের ১১তম গ্রেডে বেতনের দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছিলেন। এরপর ১৩তম গ্রেডে এসব শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ করে সরকার। গত ৯ ফেব্রুয়ারি এই শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের আদেশ জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
নিয়মানুয়ায়ী, উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির পর সহকারী শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ করা হয় নিম্ন ধাপে। কিন্তু গ্রেড অনুযায়ী বেতন নির্ধারণের পর দেখা যায়, বিদ্যমান বেতনের চেয়ে শিক্ষকরা কম বেতন পাচ্ছেন। এই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।
এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি তুলে ধরে অর্থ বিভাগকে চিঠি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সমস্যার সমাধানে ১৩তম গ্রেডের উচ্চধাপে সহকারী শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এতে নতুন করে সমস্যা সৃষ্টি হয়। ‘আইবাস প্লাস প্লাস’ সফটওয়্যার মডিউলে ১৩তম গ্রেডের উচ্চ ধাপে বেতন নির্ধারণ সংক্রান্ত বিষয় ইনপুট থাকায় উচ্চতর গ্রেডে শিক্ষকরা বেতন নির্ধারণ করতে পারেননি।
এ বিষয়টি নজরে আনা হলে অর্থ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। অর্থ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে উচ্চতর ধাপে বেতন নির্ধারণের বিষয়টি সফটওয়্যারে ইনপুট দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম আল হোসেন বলেন, অর্থ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টির সমাধান করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হবে।