পরিপত্র জারি

স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় খোলা অতীব জরুরি, যা জানাল মন্ত্রণালয়

  © লোগো

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কয়েক দফায় বাড়িয়ে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত এই ছুটি বাড়ানো হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিশিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাতসহ শিশুর শিখন যােগ্যতার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা যত বেশি সময় বিদ্যালয়ের বাইরে থাকবে, তাদের বিদ্যালয়ে ফেরার সম্ভাবনা ততই কমে যাবে।

তাই জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাশিগগির বিদ্যালয় পুনরায় চালু করা অতীব জরুরি। তবে বিদ্যালয় পুনরায় চালু করার পূর্বে পূর্ব প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা আবশ্যক।

আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাে: আকরাম-আল-হােসেন স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে বলা হয়েছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় পুনরায় চালুর বিষয়ে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয় এবং তদানুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি৪) এর আওতায় বিদ্যালয় পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা (স্লিপ) প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন গাইডলাইনের আলােকে স্ব স্ব বিদ্যালয় নিজস্ব পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন অব্যাহত রয়েছে। বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ওই গাইডলাইনের আলােকে বিদ্যালয় পুনরায় চালু করার পূর্বে পূর্ব প্রস্তুতিমূলক বিবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। এ প্রেক্ষিতে বিদ্যালয় পর্যায়ে স্লিপ বরাদ্দকৃত ফান্ড দ্বারা অগ্রাধিকারভিত্তিতে নিমােক্ত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে:

ক) ক্লাসরুমসহ বিদ্যালয়ের পুরাে আঙ্গিনা সর্বদা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং জীবাণু মুক্ত করা;

খ) বিদ্যালয়ের সমস্ত আসবাবপত্র সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং জীবাণু মুক্ত করা;

গ) শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র ‘ইনফ্রারেড থার্মোমিটার স্থানীয়ভাবে ক্রয়;

ঘ) সাবান, ব্লিচিং পাউডার, ইত্যাদি ক্রয়;

ঙ) ওয়াশরক ও টয়লেট সার্বক্ষণিক পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা;

চ) মগ, জগ ও বালতি ক্রয়;

ছ) অস্থায়ীভাবে হাত ধােয়ার স্থান নির্ধারণ করে হাত ধােয়ার পানি ও পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা; পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য শ্রমিকের যৌক্তিক সেবা ক্রয় (প্রযােজ্য ক্ষেত্রে);

ঝ) কোভিড-১৯ মেয়াদকালে ইন্টারনেট ডাটা ক্রয় (এ খাতে বরাদ্দ না থাকলে)।
(চলমান পাতা)

৩) বিদ্যালয়ে বরাদ্দকৃত স্লিপ ফান্ড থেকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে স্থানীয়ভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে উপরে বর্ণিত সামগ্ৰী/সেবা ক্রয়/সংগ্রহ করা যাবে।

৪) কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় পুনরায় চালুর নির্দেশিকার আলােকে স্ব স্ব বিদ্যালয় স্থানীয়ভাবে প্ল্যান গ্রহণ করে তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করবে।

৫) বিদ্যালয় পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা (সিপ) প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন গাইডলাইনের অনুবৃত্তিক্রমে এ পরিপত্র জারি করা হলাে এবং তা ওই গাইডলাইনের অংশ হিসেবে গণ্য হবে।

৬) উপযুক্ত ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারের প্রচলিত আর্থিক বিধিবিধান অবশ্যই প্রতিপালন করতে হবে।

৭) পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত এ পরিপত্র বলবৎ থাকবে।


সর্বশেষ সংবাদ