২৫ শতাংশ বিদ্যালয় খোলার প্রস্তাব: সায় নেই মন্ত্রণালয়ের

বিদ্যালয়ে পিটিরত অবস্থায় শিক্ষার্থীরা
বিদ্যালয়ে পিটিরত অবস্থায় শিক্ষার্থীরা  © ফাইল ফটো

দেশে চলমান কভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় জেলা পর্যায়ে ২৫ শতাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় মাঠ পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা। তবে অংশিকভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সুযোগ নেই বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

আংশিকভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না। শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে ২৫ ভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সেটি বাস্তবায়ন করার কোনো সুযোগ নেই।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলমান কভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হলে কিভাবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালিত হবে তার একটি নির্দেশিকা প্রস্তুত করে দেশের প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আগামী ১ নভেম্বর থেকে সংক্ষিপ্ত পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা প্রকাশ করেছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)। সেই হিসেবে অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে না আসলে নভেম্বরেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না।

এ প্রসঙ্গে সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, আমাদের কাছে সবার আগে প্রাধান্য পাবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি। তাদের নিরাপত্তা বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পরিস্থিতি অনুকূলে না আসলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না। যে যাই প্রস্তাব দিক প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না।

এর আগে ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত স্ব-স্ব মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে’ এমন ঘোষণা দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এর পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এবং সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন ভিডিও কনফারেন্সে দেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেছেন। প্রথমধাপে রাজধানী ঢাকার স্কুলগুলো না খুলে মফস্বল পর্যায়ের ২৫ শতাংশ স্কুল খোলার পরামর্শ এসেছে। শহরের বিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকলেও এসব শিক্ষার্থীরা টিভি, রেডিওসহ নানা মাধ্যমে ক্লাস করার সুযোগ পাচ্ছে।

অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতির কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় মফস্বলের শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে তারা টিভি-রেডিও ক্লাসের সুযোগ পাচ্ছে না। এ কারণে শিক্ষক-কর্মকর্তারা মফস্বল পর্যায়ের ২৫ শতাংশ স্কুল খুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ