এক বিদ্যালয়ে ৩-৫ বছর হলেই বদলি: প্রতিমন্ত্রী জাকির
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ ৫ বছর চাকরি করতে পারবেন। এরপর অন্য বিদ্যালয়ে বদলি করা হবে। আগামী অক্টোবর থেকে এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। আজ বুধবার (১২ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেদীর্ঘদিন থেকে শিক্ষকদের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা রোধ করতে তিন থেকে পাঁচ বছর পর অন্য স্কুলে বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে সারা বছর এই বদলি করা হবে বলে জানায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা অক্টোবর/নভেম্বর থেকে আমরা করবো, অক্টোবরের কথা বলা হয়েছে। আমরা অনলাইনে শিক্ষক বদলির কার্যক্রম করতে চাচ্ছি।
গতানুগতিক ধারায় জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত আবেদন নিয়ে শিক্ষক বদলি করা হয়। এসময় শিক্ষক বদলি নিয়ে নানা রকম দুর্নীতি হয়। টাকার বিনিময়েও বদলির ঘটনা ঘটে।
২০২০ সাল থেকে অনলাইনে বদলির জন্য এবছর ফেব্রুয়ারিতে জরুরি বদলি ছাড়া সহকারী শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে হার্ড কপির আবেদনে বদলি কার্যক্রম শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে তা আটকে যায়।
প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, শিক্ষক বদলি মাত্র দুই মাস। এই দুই মাসে আমরা অফিস-আদালত কিছু করতে পারি না। তদবিরের জ্বালায় বাসায় থাকতে পারি না। শুধু আমি নই, আমার সচিব, ডিজি, কর্মকর্তারা... ভিড়ে ঢোকা যায়? এটা আমরা সারাবছর করতে চাচ্ছি, অনলাইন সিস্টেমে। যার যোগ্যতা আছে সে পারবে।
‘এখানে দুই/তিন মাস আমাদের কাজকর্ম সব হারাম হয়ে যায়, আমরা কোনো কাজ করতে পারি না। তদবিরের তো অভাব হয় না। তারপর ঘুষ, দুর্নীতি নানা কিছু এরমধ্যে জড়িত। আমরা এটায় স্বচ্ছতা আনতে চাই। ’
সহকারী শিক্ষকদের তিন থকে পাঁচ বছর পর বদলির নিয়মও আসছে- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেটাও আমরা একটা সিস্টেম করে দেবো।
‘১৭ বছর, ২০ বছর যখন একজন শিক্ষক এক জায়গায় থাকে তখন কিন্তু তিনি আর শিক্ষক থাকেন না। শিক্ষকদেরও তো শিক্ষক হতে হবে। শিক্ষক কখনও নেতা হয়ে যান, কখনও ডাক্তার হন, শিক্ষকরা অনেক কিছু করতে পারেন। এটা থেকে আমরা একটু মুক্তি চাই। যাতে শিক্ষকেরা শিক্ষকতা করেন। ’