প্রাথমিকে অফিস সহকারী নিয়োগ দেয়া হবে: প্রতিমন্ত্রী
সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকদের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সব ধরণের কাজ করানোর অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এসরে মধ্যে রয়েছে-ভর্তি রেজিস্টার, বই বিতরণ, প্রতি মাসে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভা আয়োজন, অভিভাবক সমাবেশ, মা সমাবেশ, উপবৃত্তির কাজ, খুদে ডাক্তার কার্যক্রম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা প্রভৃতি।
শুধু তাই নয়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন কাজে বাইরে থাকলে তার যাবতীয় কাজ সম্পাদনা করতে হয় সহকারী শিক্ষকদের। মাঝে মাঝে কাজের চাপ এতটাই বেশি থাকে যে শিক্ষকরা ঠিকভাবে ক্লাস নেয়ার সুযোগ পান না। ফলে কোমলমতি শিশুদের পাঠদানে হরহামেশাই ব্যাঘাত ঘটছে। আর শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন পরিপূর্ণ শিক্ষা থেকে।
এ বিষয়ে বান্দরবান সদর উপজেলার ভাগ্যকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু ফারুক জানান, সহকারী শিক্ষকদের বিদ্যালয়ের সামগ্রিক কাজ করতে হচ্ছে। এসব কাজের ব্যস্ততা ও চাপে মানসম্মত ও প্রত্যাশিত পাঠদান অনেকটাই দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। প্রধান শিক্ষককে যাবতীয় লেখালেখির কাজে সহায়তার জন্য একজন অফিস সহায়ক নিয়োগ করলে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকগণ অকারণে কাজের চাপ থেকে রেহায় পাবেন। ফলে শ্রেণি পাঠদানে হতে পারেন শতভাগ স্বতঃস্ফূর্ত।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী নিয়োগের দাবি জানিয়ে মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ফারুক হোসেন বলেন, অফিস সহকারী না থাকার কারণে আমাদের যাবতীয় কাজ করতে হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটছে অন্যদিকে শিক্ষকদের ভেতরে সৃষ্টি হচ্ছে চাপা ক্ষোভের।
এদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের সমস্যার কথা বিবেচনা করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে অফিস সহকারী নিয়োগ দেয়ার কথা ভাবছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে সম্প্রতি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে একজন করে অফিস সহকারী নিয়োগের বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় রয়েছে। তবে আপাতত শিক্ষক নিয়োগরে বিষয় নিয়ে সবাই ব্যস্ত থাকায় এটি এখনই বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। শিক্ষক নিয়োগ শেষ হলে আমরা অফিস সহকারী নিয়োগের বিষয়টি দেখব।
প্রাথমিকের শিক্ষকরা বলছেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে অফিস সহকারী নিয়োগ দিলে তারা যেমন অতিরিক্ত কাজের চাপ থেকে বাঁচবেন তেমনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা যাবে। শুধু তাই নয় একই সাথে সৃষ্টি হবে অর্ধলাখেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান।