‘পর্যালোচনা করা হবে’ আশ্বাসে শেষ হলো মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রাথমিকের সভা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দাবিগুলো নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় অর্থ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত ‘পর্যালোচনা করা হবে’—এই আশ্বাসেই সভার সমাপ্তি ঘটে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং শিক্ষক সংগঠন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ ও প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ-এর নেতৃবৃন্দ।
বৈঠকে অর্থ সচিব জানান, সহকারী শিক্ষকদের বেতনগ্রেড ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার প্রস্তাব ইতোমধ্যে জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫-এর কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি এখন কমিশনের বিবেচনাধীন রয়েছে। কমিশনের সুপারিশ পাওয়ার পর অর্থ বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
অন্যদিকে, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা দূর করার বিষয়ে বলা হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রস্তাব পাঠালে অর্থ বিভাগ তা পর্যালোচনা করবে। আর সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুসারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।
দীর্ঘ আলোচনার পরও কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় শিক্ষক নেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে তারা আশা প্রকাশ করেছেন, সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দ্রুত দাবিগুলোর বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ নেবে।
সভায় সহকারী শিক্ষকদের তিনটি প্রধান দাবি নিয়ে আলোচনা হয়। দাবিগুলো হলো- বর্তমান ১৩তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন, এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি।