শিক্ষায় সব ধরনের সহায়তা করা হবে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা: বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, বন্যা দুর্গত এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সব ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে যা যা প্রয়োজন সবকিছু করা হবে। প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ফেনী জেলার কয়েকটি বন্যা দুর্গত প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদদের মাঝে বই, খাতা, কলম ও ব্যাগ বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
বন্যার বিপর্যয় কাটিয়ে উঠেছেন। বাস্তব অবস্থা দেখার জন্য আমরা এসেছি। নতুন বই, খাতা, কলম ও ব্যাগ দিচ্ছি। শিক্ষার্থীদের মনোযোগ সহকারে লেখাপড়া করতে হবে। অনেকদিন পড়াশোনায় গ্যাপ হয়েছে। এ গ্যাপ পুষিয়ে নিতে হবে।
আরও পড়ুন : বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৭৯৯ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সবচেয়ে বেশি নোয়াখালীতে
এদিন উপদেষ্টা ফেনী সদর উপজে।লার ফেনী জেলার সদর উপজেলাস্থ কাজিরবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুলগাজী উপজেলার বন্দুয়া দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, জেলা প্রশাসক মুছাম্মাৎ শাহিনা আক্তার, পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক ড. শফিকুল ইসলাম, ফেনী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন : উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি বাতিল করে ‘এডহক’ কমিটি গঠন
উপদেষ্টা পরে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামস্থ চান্দকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে বই, খাতা, কলম ও ব্যাগ বিতরণ করেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান না স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাম্প্রতিক আকস্মিক বন্যায় দেশের , দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় ১১টি জেলায় প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ২ হাজার ৭৯৯ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি এবং বই-পুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের সংস্কার কার্যক্রমের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন হবে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা। এগুলো ছাড়াও জেলাভিত্তিক আউট অফ স্কুল চিলড্রেন শিক্ষা কার্যক্রমের শিখন কেন্দ্রসমূহের নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী ও লক্ষীপুর জেলার ১৮টি উপজেলার ৯৪৬টি শিক্ষণ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়, ফেনী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং মৌলভীবাজারের ১ হাজার ৩২১টি বিদ্যালয়ের ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৩টি পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলোর অধিকাংশ পাঠ্যপুস্তক সমন্বয় করা হয়েছে। বাকিগুলোর সমন্বয়ের কাজ চলমান রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের পোষাক ও ব্যাগের সমন্বয়ের কাজ চলমান রয়েছে।