ঢাবিতে ছাত্রলীগের আনন্দ র্যালি
ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান মন্ত্রীসভায় খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ায় উক্ত সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ র্যালি ও র্যালি পরবর্তী সমাবেশে করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর বারোটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মধুর ক্যান্টিন থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি জায়গা প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন সহ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান এনে গতকাল একটি আইন পাস হয়েছে মন্ত্রিসভায়। আমরা কৃতজ্ঞ , আমরা ধন্যবাদ জানাই আমাদের যে অনুরোধ ছিল প্রাণপ্রিয় নেত্রীর কাছে তিনি তা রেখেছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পরিবার দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ।
তিনি আরো বলেন, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করার জন্য সবার আগে মাঠে নামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। কিন্তু কিছু অসৎ নামসর্বস্ব ব্যক্তি, নামসর্বস্ব সংগঠন, ধর্ষকদের যারা সবসময় সাপোর্ট দেয়, তারা মিথ্যা বলে যে সিমপ্যাথি নেওয়ার চেষ্টা করেছে সেটা কিন্তু সবাই জেনেছে যে এই নাটক বাজদের এজেন্ডা পাকিস্তানের এজেন্ডা।সুতরাং এই পাকিস্তানিদের কোন ভাবে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার সুযোগ দিবোনা। জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব সময় পরিশ্রম করা যাবে, তার হাত ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
লেখক ভট্টাচার্য বলেন, জনগণের আবেদনে সাড়া দিয়ে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই গতকালের মন্ত্রীসভায় ২০০০ সালের যে নারী নির্যাতন আইন ছিল সে আইনের খসড়া সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড হিসাবে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আজকের এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। বিকাল ৩ টায় সারা বাংলাদেশের আমাদের সকল ইউনিট এ কর্মসূচি পালন করবে।