২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:১৭

এমসি কলেজের গণধর্ষণে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নেই: জয়

আল-নাহিয়ান খান জয় ও এমসি কলেজ গেইট  © টিডিসি ফটো

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়। এ ঘটনার বিচার দাবি করে তিনি বলেছেন, ‘ধর্ষণের সঙ্গে সংগঠনটির কোন নেতাকর্মী জড়িত নয়’।

আজ শনিবার এক ভিডিও বার্তায় জয় বলেন, আপনারা দেখেছেন অনেক সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করেও অনেকে অনেক ধরনের অপকর্ম করেছে। এসব সুবিধাভোগীরা সংগঠন কিংবা দলের নাম ভাঙিয়ে অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।

জয় বলেন, এমসি কলেজের ঘটনায় আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছি। এ ঘটনায় যারা অভিযুক্ত তাদের কারো ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কোন পদ-পদবী নেই। সেখানে ৭ বছর ধরে সংগঠনটির কোন কমিটিও নেই।

আরও পড়ুন, ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ: আন্দোলনে যাচ্ছে ছাত্রলীগ

অভিযুক্তদের বিচার দাবি করে জয় বলেন, আমরা ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে নির্দেশ দিয়েছি ধর্ষকদের যেখানে পাওয়া যাবে যেখানেই তাদের ধরে আইনের হাতে তুলে দেবে। অপরাধী যেই হোক বিচার করতে হবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কখনও এ ধরনের অন্যায়ের প্রশ্রয় দেয়না।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বিকেলে স্বামীর সাথে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন এক তরুণী। সন্ধ্যায় তাদের কলেজ থেকে ছাত্রাবাসে ধরে নিয়ে আসে ছাত্রলীগের ৫/৬ জন নেতাকর্মী। এরপর দুজনকে মারধর করে স্বামীর সামনেই স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে তারা। রাতে ছাত্রাবাস থেকে এই দম্পত্তিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীকে ওসমানী হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় শনিবার সকালে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন ধর্ষিতার স্বামী।

এদিকে এ ঘটনার বিচার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাস।আজ শনিবার দুপুরে ক্যাম্পাসসংলগ্ন সিলেট-তামাবিল সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এসময় তারা ধর্ষণকারীদের বিচার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার জ্যোর্তিময় সরকার বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ছাত্রাবাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সাথে কলেজ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ছাত্রাবাস ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা। পুলিশ এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। শুক্রবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছাত্রাবাসের সাইফুর রহমানের রুম থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র ও ছোরা উদ্ধার করা হয়।