১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০:৩৩

হাসপাতালের সামনে শফী সমর্থকদের বিক্ষোভ

  © সংগৃহীত

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আল-জামিয়াতুল তাহলিমা দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার সাবেক মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর খবরে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে তার সমর্থক ও ভক্ত আলেম এবং মাদ্রাসার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছে।

আজ শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত হাসপাতালের সামনেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা। সেখান থেকে ইসলামী ঐক্যজোটের একজন নেতা এ কথা জানান। আল্লামা শফীর ছয়টার দিকে আহমদ শফীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই হাসপাতালের সামনে ভিড় করতে থাকেন তার সমর্থকরা। ঢাকার আলেমরাও তার মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আহমদ শফীর মৃত্যুর পর ঢাকার কিছু মাদ্রাসার আলেম, ছাত্র ও ইমাম তার মৃত্যুর জন্য হাটহাজারী মাদ্রাসার গত তিনদিনের বিক্ষোভকে দায়ী করেন। যদিও কোনও-কোনও আলেম বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন কোনও মত প্রকাশ না করার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।

তারা বলেন, উপস্থিত কোনও-কোনও সমর্থক আহমদ শফীকে জাতীয়ভাবে জানাজা ও দাফনের দাবি করেন। এছাড়া কেউ-কেউ জানাজায় হেফাজত মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী যেন অংশগ্রহণ না করেন, সে দাবিতে স্লোগান দিতে দেখা গেছে বলে জানান একাধিক আলেম।

এদিন আল্লামা শাহ আহমদ শফীর উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় আনা হয়েছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে হাটহাজারী মাদরাসা থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালের তৃতীয় তলার ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) ৮ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়।

এর আগে টানা দুইদিন বিক্ষোভের পর বৃহস্পতিবার রাতে হাটহাজারী মাদ্রাসার শুরা কমিটির সভায় আহমদ শফী মহাপরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তার ছেলে আনাস মাদানিকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতিও দেওয়া হয়। এর পরপরই মাদ্রাসা থেকে একটি অ্যাম্বুল্যান্স যোগে আহমদ শফীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

রাতেই চট্টগ্রাম নেয়া হবে আল্লামা শফীর মরদেহ

সদ্য প্রয়াত হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জানাজার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সভায় বসেছে সংগঠনটির শুরা কমিটি। রাতেই ঢাকা থেকে তার মরদেহ চট্টগ্রামে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাঈনুদ্দীন রুহী।