২৫ জুলাই ২০২০, ০৯:৪৯

এমাজউদ্দীন আহমদ গণতন্ত্রের বলিষ্ঠ যোদ্ধা ছিলেন: মির্জা ফখরুল

  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের একজন অতন্দ্র প্রহরী এবং গণতন্ত্রের বলিষ্ঠ যোদ্ধা ছিলেন বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মানুষ তাঁর কাছে ঋণী থাকবে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এমাজউদ্দীন আহমদের স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এমাজউদ্দীন আহমদ ১৭ জুলাই মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এমাজউদ্দীন আহমদ তাঁর কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের মধ্যে রয়ে গেলেন। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের একজন দৃঢ় প্রবক্তা হিসেবে তাঁর চিন্তা, তাঁর বিশ্বাস, তাঁর কাজ আমাদের আরও শক্তিশালী করবে, সাহস জোগাবে।’

ফখরুল বলেন, প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ আমাদের মাঝে নেই আর ফিরেও আসবেন না। কিন্তু তার কাজ আমাদের মধ্যে রয়ে গেলো। তার চিন্তা, তার বিশ্বাস, তার কাজ আমাদেরকে আরো শক্তিশালী করবে, সাহস যোগাবে। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের একজন দৃঢ় প্রবক্তা, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের একজন অতন্দ্র প্রহরী, গণতন্ত্রের একজন সাহসী বলিষ্ঠ সংগ্রামী যোদ্ধা প্রফেসর এমাজউদ্দীন আমাদের প্রেরণা যুগিয়েছেন এবং যোগাবেন।

খালেদা জিয়া অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, উদার গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে তিনি আমাদের পথ দেখাবেন। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মানুষ তার কাছে ঋণী থাকবে। আমি জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে, আমাদের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং পরম করুনাময় আল্লাহর কাছে এই দোয়া চাইছি আল্লাহ তাকে যেন বেহশত নসিব করেন।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন রাষ্ট্র, সমাজ, জাতি, রাজনীতি ও গণতন্ত্র নিয়ে এমাজউদ্দীন আহমদের গবেষণা ও লেখালেখির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যে সময়ে যা প্রয়োজন, সেই সময়কে ধারণ করে এমাজউদ্দীন আহমদ সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর কী করা প্রয়োজন, সে বিষয়ে নীতিনির্ধারণী বক্তব্য দিয়েছেন, কলাম লিখেছেন, বই রচনা করেছেন। তিনি এমাজউদ্দীন আহমদের নামে একটি ‘জাতীয় স্মৃতি পরিষদ’ গঠন এবং তাঁর লেখা গ্রন্থগুলো জাতীয়তাবাদীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেন।

স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, এমাজউদ্দীন আহমদ একজন নিবেদিত জাতীয়তাবাদী বুদ্ধিজীবী ছিলেন। বাংলাদেশে অনেক বুদ্ধিজীবী আছেন, বুদ্ধিজীবীর অভাব নেই। কিন্তু তাঁর মতো উঁচু মানের বুদ্ধিজীবী এখন খুব বিরল, নেই বললেই চলে। তিনি বলেন, ‘এমাজউদ্দীন আহমদ গত ১৩ বছর অনেক দুঃখ নিয়ে বেঁচে ছিলেন। গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর একটা কমিটমেন্ট ছিল। এই যে গণতন্ত্রের মৃত্যু হচ্ছে ধীরে ধীরে, তিনি মনের মধ্যে এই দুঃখ নিয়ে চলে গেছেন বলে মনে করি।’

আলোচনা সভায় এমাজউদ্দীন আহমদের জীবনের নানা দিক নিয়ে আরও বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, আমীর খসরু মাহুমদ চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ মাহবুবউল্লাহ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী, শত নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আবদুল হাই শিকদার।