বাড়িওয়ালাদের মানবিক আচরণ করতে ওবায়দুল কাদেরের আহবান
করোনার এই সংকটে ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে বাড়িওয়ালাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। করোনা-কালে অনেক বাড়িওয়ালার আয় কমে যাওয়া ভাড়াটিয়াদের বাসা ছাড়তে বাধ্য করছেন বলে খবর শুনে আজ শনিবার (৪ জুলাই) নিজের বাসা থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই আহবান জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকের মালপত্র ছুড়ে ফেলে দেওয়ার মতো সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। মেসে অনেক শিক্ষার্থীর মালপত্রও ফেলে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এই অনেকের আয় কমেছে। অনেকে হারিয়েছেন চাকরি। কেউ কেউ পরিবার নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করছেন, প্রকাশ করতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের একে অপরের সমব্যথী হতে হবে। বিপদে-আপদে অন্যের সহযোগী ও সহমর্মী হওয়া আমাদের ঐতিহ্য। আমি বাড়ির মালিকদের অনুরোধ করব, আপনারা পরিস্থিতি বিবেচনায় একটু সহনশীল হোন, মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।
বাড়িওয়ালাদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এ কথা সত্য যে, কোনো কোনো বাড়িওয়ালা আছেন ভাড়া থেকে প্রাপ্ত আয়ই তাদের একমাত্র উৎস। আবার তার উপর ব্যাংক লোনও থাকতে পারে। তাই আমি পরিস্থিতি বিবেচনায় দু’পক্ষকে ধৈর্য ও সহনশীলতার সাথে মানবিক হওয়ার আহবান জানাচ্ছি। এই সংকটকালে ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ রাখারও আহবান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের অধিকাংশ ঋণগ্রহীতা প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী। করোনার আকস্মিক অভিঘাত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আয় ও জীবনযাপনে ফেলছে নেতিবাচক প্রভাব। অনেকেই এখন সঞ্চয় ভেঙে চলেছে। ঋণগ্রহীতাদের কেউ কেউ কিস্তি দিতে হিমমিশ খাচ্ছে।
তিনি আরও বলে, শেখ হাসিনার সরকার অর্থনীতির প্রতিটি খাতকে চাঙা রাখতে বাজেটে প্রণোদনাসহ নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। ঋণগ্রস্ত মানুষের উপর এ সময় কিস্তির বাড়তি চাপ আপাতত কিছুদিনের জন্য কমাতে কিংবা বন্ধ রাখতে আমি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি ছোট ছোট এনজিওসমূহ পড়েছে তহবিল সংকটে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে সমন্বয় করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।