অনলাইন ক্লাস শুরুর আগে ৬ শর্ত পূরণের দাবি স্বতন্ত্র জোটের
অনলাইন ক্লাস শুরুর আগে শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণ, করোনায় শিক্ষার্থীদের অর্থ সহায়তা দেওয়াসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসনকে ৬টি দাবি পূরণের কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক ছাত্রসংঠন স্বতন্ত্র জোট।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ভার্চুয়াল সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১ থেকে ৭ জুলাইয়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউট সংশ্লিষ্টদের ক্লাস শুরু করতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন। পরে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে ‘জুলাই থেকে অনলাইন ক্লাসে যাচ্ছে ঢাবি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে জোটের এসব দাবি পূরণের কথা জানানো হয়।
স্বতন্ত্র জোটে পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, করোনা মহামারীর জন্য গত ৩ মাসের বেশি সময় ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এই বিরতিতে আমাদের শিক্ষা জীবনে ক্ষতি হলেও সকলেই স্বাস্থ্য ও জীবনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সেই ক্ষতি মেনে নিয়েছে।
জোটে পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আজ ঢাবি প্রশাসনের একটি ভার্চুয়াল সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশ-বিদেশের অন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ঢাবিতেও ১ জুলাই থেকে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হবে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও তার শিক্ষার্থীরা এখনও অনলাইন ক্লাস শুরু করার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত নয়।
এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের অনালাইন ক্লাসে যেতে প্রশাসনকে ৬টি দাবি পূরণের কথা জানিয়েছে স্বতন্ত্র জোট। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে-
১) অনেক শিক্ষার্থীর পরিবার অর্থকষ্টে ভুগছে। ক্লাস শুরুর আগে তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থসাহায্যের ব্যবস্থা করতে হবে।
২) ব্যাচ অনুসারে পূর্ণ জরিপ করতে হবে। কতজনের কোন সাহায্য ছাড়াই ক্লাস করা সম্ভব, কতজনের সাহায্য পেলে সম্ভব, কজনের নেটওয়ার্ক সমস্যা কিংবা পারিবারিক অবস্থার কারণেকোন মতেই সম্ভব না সেসবের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। এই জরিপ ফোন করে করতে হবে। গুগল ফর্মের মাধ্যমে জরিপে শুধুমাত্র যাদের ইন্টারনেট এক্সেস আছে তারাই জরিপে অংশ নিতে পারে। যদি কোন বিভাগ/ইনস্টিটিউটের কোন ব্যাচে ফিনানশিয়াল হেল্প নিয়েও ক্লাস করতে পারবে না এমন কেউ থাকে তাহলে ঐ ব্যাচের ক্লাস নেয়া যাবে না।
৩) যাদের আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন (ডিভাইস/ইন্টারনেট) তাদের বিভাগ/ইনস্টিটিউট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে সাহায্য করতে হবে। ক্লাস বন্ধ থাকায় যেসব বাজেট বেচে যাচ্ছে এইসব থেকে ডিভাইস ও ইন্টারনেটের পূর্ণ ফান্ডিং নিশ্চিত করতে হবে।
৪) অনেকের ইন্টারনেট স্পিড পর্যাপ্ত নয়। তাই অবশ্যই সকল ক্লাস পরে ডাউনলোড করার জন্য মুক্ত রাখতে হবে।
৫) উপস্থিতির ওপর বাধ্যবাধকতা কিংবা কোন মার্কস রাখা যাবে না।
৬) শিক্ষকদের অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করার জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে হবে।