করোনা চিকিৎসায় হাসপাতালে চিকিৎসক পাঠাবে ছাত্রলীগ
করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক সংকট মেটাতে ইন্টার্নি ডাক্তার ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পাঠাবে ছাত্রলীগ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
শনিবার (১৬ মে) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, করোনাভাইরাসের সংকটকালে সবখানেই চিকিৎসকরা আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেক জায়গায় চিকিৎসক সংকট দেখা যাচ্ছে। দেশের যেসব হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট রয়েছে সেখানে ইন্টার্নি ডাক্তার ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, করোনা চিকিৎসার জন্য প্রাথমিক অবস্থায় রাজধানীর কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা হাসপাতাল, মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ছাত্রলীগের মেডিকেল ইউনিটগুলো থেকে প্রায় ২০ জন করে শিক্ষার্থীকে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, সারাদেশে করোনা সংকটের দিনে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। এতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তারা অনেকেই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে চিকিৎসক সংকট দেখা দিচ্ছে। একারণে এই সেবায় ইন্টার্নি ডাক্তার ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সুযোগ করে দিতে পারলে তারা ভূমিকা রাখতে পারবে।
তিনি বলেন, দেশের যেসব হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা হচ্ছে সেসব জায়গায় রোগীদের সেবায় ইন্টার্নি ডাক্তার ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পাঠাবে ছাত্রলীগ। এ জন্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান ছাত্রলীগের এই শীর্ষ নেতা।
এর আগে করোনা সংকটের শুরু থেকেই মাঠে নেমে কাজ শুরু করে ছাত্রলীগ। ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শুরুতেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ ও মাইকিং করে জনসচেতনতা তৈরি করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
পরে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে কর্মহীন হয়ে পরা মানুষের পাশে আর্থিক, খাদ্য সামগ্রীসহ নানা সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসেন নেতাকর্মীরা। এরমধ্যে কৃষকের ধান কাটা শুরু হলে সারাদেশে মাঠে নেমে ধান কাটতে শুরু করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এছাড়া রমজানের শুরু থেকেই ভ্রাম্যমাণ মানুষ ও হতদরিদ্রদের মাঝে সেহরি ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে ছাত্রলীগ।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন সংকট থাকাকালীন সময়ে সারাদেশে এসব কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। এ কারণেই চিকিৎসক সংকটে থাকা হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক পাঠানোর কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ছাত্রলীগ।