শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেতন-ফি মওকুফসহ ৫ দাবি প্রগতিশীল ছাত্রজোটের
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এ বছরের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেতন-ফি মওকুফসহ ৫ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানা। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবির, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন প্রিন্স প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, সমগ্র বিশ্বের ন্যায় করোনা সংক্রমণে বাংলাদেশও আক্রান্ত। বর্তমানে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ মাস টান্সমিশন পর্যায়ে আছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি যে, করোনা টেস্টের সংখ্যা যত বাড়ছে, তত বেশি সংখ্যায় করোনা সংক্রমিত মানুষ সনাক্ত হচ্ছেন। ফলে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষদের। তাদের কাজ নেই, কোন সঞ্চয়ও নেই। ফলে ঘরে খাবারও নেই।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই এসেছে এসব নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে। করোনা প্রকোপে তাদের শিক্ষা জীবন আজ অনিশ্চিত। শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশ টিউশন করে নিজেদের খরচ চালান। এখন করোনা কালীন সময়ে তারা টিউশন করতে পারছেন না। কিন্তু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায়িক স্বার্থে অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়ার আয়োজন চলছে। এই মহামারী পরিস্থিতিতেও বেতন-ফিসহ সেমিস্টার ফি নেওয়ার পাঁয়তারা চলছে।
সমাবেশ থেকে বক্তারা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন রক্ষার্থে ৫ দাবি তুলে ধরেন-
১ . এই বছর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন-ফি মওকুফ করতে হবে।
২ . বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সেমিস্টারের টিউশন ফি মওকুফ করতে হবে।
৩ . শিক্ষার্থীদের বাসা ভাড়া মওকুফে প্রজ্ঞাপন ও বরাদ্দ দিতে হবে।
৪ . আয়োজন ছাড়া অনলাইন ক্লাস নেওয়া চলবে না।
৫ . অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা করে আর্থিক সহযোগিতা করতে হবে।