বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক আরিফুলের পাশে আছে ছাত্র সমাজ
দেশের মুক্তিকামী ছাত্র সমাজ অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামের পাশে আছে বলে জানিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ বিষয়ে জানিয়েছেন।
রাশেদ খাঁন বলেন, বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের পাশে আছে ছাত্র সমাজ। কুড়িগ্রামের ডিসি যে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে তা স্পষ্ট। অনতিবিলম্বে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়া না হলে সাংবাদিক আরিফুলের মুক্তির দাবিতে ও ক্ষমতা অপব্যবহারের কারণে ডিসির বিরুদ্ধে রাজপথে নামবে মুক্তিকামী ছাত্র জনতা।
তিনি বলেন, এবিষয়ে অধিকাংশ সাংবাদিকরা চুপ। কাকের মাংস কাকে না খেলেও সাংবাদিকদের মাংস ঠিকই সাংবাদিকরা খায়। তারা নেতার পকেট থেকে খায়, সরকারের সুযোগ সুবিধা খায়। আর যে ক’জন সাংবাদিক নেতার পকেটে না ঢুকে সাহসিকতার সাথে কলম চালিয়ে যায়, তাদের অবস্থা কুড়িগ্রামের বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের মতো হয়।
জানা গেছে, গতকাল রাতে বাড়িতে হানা দিয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে তুলে নিয়ে গেছে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট। ডিসি অফিসের দুই-তিন জন ম্যাজিস্ট্রেট ১৫-১৬ জন আনসার সদস্যকে নিয়ে দরজা ভেঙে তার বাসায় প্রবেশ করে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এসময় আরিফুলের বাসায় আধা বোতল মদ ও দেড়শ’ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে বলে দাবি করেন তারা।
এদিকে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে মধ্যরাতে ঘর থেকে তুলে আনার পর মোবাইল কোর্টে বিচার করে কারাদণ্ড দেওয়ার পুরো ঘটনাকেই বেআইনি বলে আখ্যায়িত করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। শনিবার এক বিবৃতিতে জড়িতদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।