মোদির আগমনে ৯ মার্চ আনন্দ মিছিল করবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ
আগামী ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমন উপলক্ষে ৯ মার্চ মোদিকে স্বগত জানিয়ে মিছিল করবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এছাড়াও মুজিববর্ষকে কেন্দ্র্র করে বছরব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বছরব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা ও নরেন্দ্র মোদির আগমন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক মো.আল মামুন। তাছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ঢাবি শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন। তিনি মুজিববর্ষ উপলক্ষে বছরব্যাপী মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কর্মসূচী ঘোষণা করেন। সেগুলো হলো: ১) ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদীর আগমন উপলক্ষে ৯ মার্চ বর্ণাঢ্য স্বাগত মিছিল এবং সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সকল ইউনিটে আগামী ১০ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত স্বাগত মিছিল কর্মসূচি পালন; ২) ভারত-বাংলাদেশের ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য বন্ধুত্বের অতীতের বিভিন্ন কর্মকা-ের স্থির চিত্র ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনী; ৩) বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর আলোকচিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী; ৪) বঙ্গবন্ধুর লেখা ৩য় বই ‘আমার দেখা নয়া চীন’ এর উপর রচনা প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান; ৫) দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০০টি করে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি; ৬) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে ১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সাথে নিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন; ৭) ১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ১৭ জন বীরঙ্গনাকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান; ৮) বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা সভা ও মুক্তিযুদ্ধের গান পরিবেশন; ৯) সারাদেশ ব্যাপী দুর্নীতি বিরোধী পদযাত্রা ও ক্যাম্পেইন; ১০) স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি; ১১) পথশিশুদের মাঝে নতুন পোশাক ও খাবার বিতরণ; ১২) জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সমাবেশ ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক।
লিখিত বক্তব্যে আল মামুন বলেন, সম্প্রতি মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসাকে কেন্দ্র করে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি-জামাত ও নুরু গংরা মুজিববর্ষের গৌরবময় ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান বানচালের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি তা কখনোই মেনে নিবে না এবং সকল ষড়যন্ত্র শক্ত হাতে দমন করবে।
তিনি বলেন, কূটনৈতিক আইন অনুযায়ী একটি দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান আরেকটি দেশে সফর করলে তিনি সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়ার অধিকার রাখেন। নরেন্দ্র মোদীকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে সর্বোচ্চ সম্মান করা আমাদের নৈতিক ও আইনগত দায়িত্ব।
ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম ও সাধারণ ছাত্রদের আবেগকে পুঁজি করে ভারত বিরোধী সেন্টিমেন্ট তৈরি করার মাধ্যমে পাকিস্তানী আইএসআইয়ের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে শিবিরের আপডেট ভার্সন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী গোষ্ঠী জামাত-শিবির-বিএনপি-নুরু গংরা নয়াদিল্লীর ঘটনাকে অপব্যাখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শান্তি প্রিয় মানুষের মাঝে বিভ্রান্ত ছড়ানোর চেষ্টা করছে এবং বাংলাদেশ-ভারতের অকৃত্রিম বন্ধুত্বের সম্পর্ক বিনষ্টের ঘৃণ্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে যা সম্প্রতি জামাত-শিবির-বিএনপি-নুরু গংদের শীর্ষ নেতৃত্বের ভারত বিরোধী বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, কোন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নয়, ভারতের বিরোধিতা করাই জামাত-শিবির-বিএনপি-নুরু গংদের মূল উদ্দেশ্য। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানটি বানচাল করার ষড়যন্ত্রে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানী দালাল বিএনপি-জামাত-নুরু গংরা।