ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে (ডিএসসিসি) বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ চালাতে গেলে ইশরাকের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের সমর্থকরা এ হামলা চালায়। এ ঘটনায় একজন গণমাধ্যমকর্মীসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এর আগে গাবতলীতে ঢাকা উত্তরে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের প্রচারণায়ও হামলা চালানো হয়।
জানা গেছে, সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। প্রায় ৪০ মিনিট থেকে থেমে চলে এ সংঘর্ষ। প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বাসার অদূরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কয়েকজনকে রাস্তায় ফেলে বাঁশ দিয়ে পেটানো হয় বলে জানা গেছে। হামলায় আহতদের অধিকাংশই বিএনপি কর্মী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচারে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও বেশ কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা যায়। এ সময় উভয় দলের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
ইশরাক হোসেন সকালে মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে গণসংযোগ শুরু করে উইমেন্স সেন্ট্রাল কলেজের সামনে আসলে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। হামলা শুরু হলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ইশরাককে নিয়ে তার বাসার দিকে যান।
পরে ইশরাক গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, বিনা উসকানিতে পরিকল্পনা করে এ হামলা করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় প্রতিপক্ষ এই হামলা চালায়। তার নেতাকর্মীদের ভোট থেকে বিরত রাখতে এ হামলা।
তিনি বলেন, বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক হামলায় রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। আহত হয়েছেন তার ৭-৮ জন কর্মী-সমর্থক। এ হামলার নিন্দা জানিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি সবাইকে ভোটকেন্দ্রে এসে ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দেয়ার আহবান জানান তিনি।