নেতাদের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজের দায় নেবে না ছাত্রলীগ
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কোন কাজ নেতা-কর্মীরা করলে এর দায়ভার সংগঠন নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পদক লেখক ভট্টাচার্য। শনিবার রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
লেখক আরও বলেন, আপনারা নেত্রীর আদেশ, গঠনতন্ত্র, সংগঠনের নির্দেশনা পরিপন্থী কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত হবেন না। দলের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী, কেন্দ্রের নির্দেশনা পরিপন্থী কোনো কাজে জড়িত হলে, এর দায়ভার ছাত্রলীগ নেবে না। একইসঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যদি অন্যায় অবিচার করা হয়, ষড়যন্ত্রমূলক আচরণ, হয়রানিমূলক মিথা মামলা দেওয়া হয়, তাহলে তাদের রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে। কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদসহ সারাদেশের নেতাকর্মীরা শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই করবেন।
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে যারা হত্যা করে এবং রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে যারা অপমান করে এমন ছাত্রলীগ নেতা-কমীর প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের জন্য নেতৃত্বের শিক্ষা নিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারই যথেষ্ট উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে সারাদেশে ডিজিটাল বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টেও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য টিউলিপ সিদ্দিক রয়েছেন। এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর পরিবার সফলতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মী বিনয়ী থাকবে বলে উল্লেখ করেছেন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এছাড়া রিসার্চ ও উন্নয়নের জন্য আলাদা সেল গঠন করা হবে বলেও জানান।
তিনি আরও বলেন, দক্ষ প্রশিক্ষক ও ছাত্রনেতা গড়ে তুলতে বছরের শুরুতে ওরিয়েন্টেশনাল প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে। ছাত্রলীগ শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য ছাত্র নেতাদের সামনে বক্তব্য দিতে পেরে নিজেকে ধন্যও মনে করেন আল নাহিয়ান খান জয়। এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্যরা।
আজ ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হয়। এদিকে দুপুর আড়াইটার দিকে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী শুরু হয়েছে। এতে উপস্থিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে পুনর্মিলনীর উদ্বোধন করা হয়। এসময় সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আওয়ামী লীগের সাধারাণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা উপস্থিত রয়েছেন।
জানা যায়, ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। আগামীকাল রবিবার (৫ জানুয়ারি) পালিত হবে রক্তদান কর্মসূচি। এরপর শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ। শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষ হবে।