সিপিবির মিছিলে আ’লীগের হামলা, আহত ২০
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) পদযাত্রায় হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা মঞ্জুরুল আহসান খানসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বালিজুড়ি বাজারের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
সিপিবি নেতা-কর্মীরা জানান, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করা, দ্রব্যমূল্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনা এবং কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় দখলমুক্ত করাসহ ১৭ দফা দাবিতে সকালে জামালপুর জেলা সিপিবি আয়োজিত সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান খানের নেতৃত্বে একটি পদযাত্রা মিছিল বের হয়। মিছিলটি ইসলামপুর, মেলান্দহ হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মাদারগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছে। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের একদল নেতা-কর্মী পদযাত্রা মিছিলে অতর্কিতে হামলা চালায়।
হামলায় সিপিবি নেতা মনজুরুল আহসান খান, হযরত আলী, শিবলুল বারী রাজু, আলী আক্কাছ, মারুফ আহাম্মেদ খান মানিকসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। হামলার খবর পেয়ে মাদারগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সিপিবির জামালপুর জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহাম্মেদ খান মানিক দাবি করেন, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পদযাত্রায় হামলা করে।
মাদারগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম লিখন জানান, এ রকম কোন ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরো বলেন, কে বা কারা হামলা চালিয়েছে আমি তাদের পরিচয় জানি না।
এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জানান, ছাত্রলীগ যুবলীগের কোন সদস্য এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। কে বা কারা ব্যানার, ফেস্টুন ছিড়েছে তা আমার জানা নেই।
মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ওবায়দুর রহমান বেলাল বলেন, আমি শুনেছি মাদারগঞ্জে শহীদ মিনার এলাকায় কমিউনিস্ট পার্টির পদযাত্রায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। হামলার ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, পথসভা চলার সময় হামলা চালিয়ে ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার কথা শুনেছি। তবে কারও গায়ে হাত দেওয়ার কোনো ঘটনা জানি না।