সভাপতির চেয়ে ৬ বছরের বড় সম্পাদক, ছাড়াল বয়সসীমাও
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের সদ্য চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শেখ ফজলে শামস পরশ। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
জানা গেছে, সভাপতি শেখ ফজলে শামসের চেয়ে ছয় বছরের বড় সাধারণ সম্পাদক নিখিল। এক্ষেত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে শেখ মনির বড় ছেলের ৫১ বছর, যেখানে সম্পাদক নিখিলের বয়স ৫৭। যদিও এর আগে যুবলীগ নেতাদের বয়সসীমা ৫৫ নির্ধারণ করা হয়। তবে মাইনুল হোসেন খান নিখিলের বয়স নির্ধারিত বয়সসীমার তুলনায় দু’বছর বেশি। কাউন্সিলের জন্য জমা দেওয়া তার জীবনবৃত্তান্ত থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গত সেপ্টেম্বরে এক সভায় যুবলীগ নিয়ে শেখ হাসিনার উষ্মা প্রকাশের পর ঢাকায় ক্যাসিনো বন্ধে র্যাবের অভিযানে প্রকাশ পেতে থাকে সংগঠনটির নেতাদের নাম, গ্রেপ্তারের পর বহিষ্কৃতও হন কয়েকজন নেতা।
আগের কমিটির যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে থাকা যুবলীগ নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তখন তার বয়স ৭১ হওয়া নিয়েও বিতর্ক হয়। এরপর সংগঠনটির নেতাদের বয়সসীমা ৫৫ নির্ধারণ করা হয়। ওমর ফারুককে অব্যাহতিও দেওয়া হয় সব সাংগঠনিক কাজ থেকে।
এ সংগঠনের নতুন সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী মাইনুল হোসেন খান নিখিল দুই যুগের বেশি সময় ধরে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এর আগে তিনি উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করেন।