অন্যের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করলেন সেই আ’লীগ নেতা
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌর মেয়র ও আওয়ামীলীগ অন্যের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, উল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা গুলশানারা পারভীন পান্নাকে তিনি উভয় পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে করেছেন।
গতকাল সোমবার শিক্ষিকা গুলশানারা পারভীন পান্না ও পৌর মেয়র নজরুল ইসলামকে নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়। যেখানে বলা হয় পান্নাকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন মেয়র। আদতে সেটা সত্য নয় বলে জানিয়েছেন মেয়র।
এ সংবাদকে 'মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন' উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেয়র নজরুল ইসলাম। উল্লাপাড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে পৌরসভার ৮ জন কাউন্সিলর, পৌর আওয়ামী লীগের ৯টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি স্থানীয় পত্রিকা ও ২/১টি অনলাইন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করেছে, যা অসত্য। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিয়ে সংক্রান্ত সব কাগজপত্র সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন। মেয়র নজরুল ইসলাম বলেন, ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক আমার দ্বিতীয় বিয়েতে পান্নার বাবা মুক্তিযোদ্ধা গোলাপ হোসেন, মা জাকিয়া সুলতানা ও তার পরিবারের অনেক সদস্যসহ শহরের গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে প্রথম স্ত্রী জেসমিন জয়ারও দ্বিতীয় বিয়ে হয়ে গেছে। এরপরও কেন আমার বিরুদ্ধে চরিত্রহরণসহ নানা নোংরা সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে? প্রশ্ন করেন তিনি।
জানা গেছে, প্রথম স্ত্রী জেসমিন জয়ার সঙ্গে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখে তালাকের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় মেয়র নজরুল ইসলামের। এরপর উভয় পরিবারের সিদ্ধান্তে ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল অনাড়ম্ভর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গুলশান আরা পারভীন পান্নাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন মেয়র নজরুল ইসলাম।
এর আগে ২০১৬ সালের ২৭ জুলাই শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে প্রথম স্বামী রুমান সাইদ রাজনকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন গুলশান আরা পান্না। একই তারিখে তাদের দুজনের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এছাড়া মেয়রের প্রথম স্ত্রী জেসমিন জয়ারও দ্বিতীয় বিয়ে হয়ে গেছে।