আবরার হত্যার প্রতিবাদে ইশা আন্দোলনের মিছিলে পুলিশের বাধা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার বিচার দাবি ও প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের বাধার অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন লক্ষ্মীপুর শহর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচীতে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে দক্ষিণ তেহমুনি চত্বর থেকে এ বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় সংগঠনটির জেলা শাখার সভাপতি ফয়েজ আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক এইচ. এম. আল-আমিনের সঞ্চালনায় বক্তারা এ ঘটনায় জড়িত বাকি আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এছাড়া এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশি বাধার সমালোচনা করেন বক্তারা।
সংগঠনটির সভাপতি ফয়েজ আহমেদ বলেন, মানুষ হিসেবে প্রত্যেকের ভিন্ন মত থাকেই পারে। তাই বলে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা কোনো মানুষের কাজ হতে পারেনা। আমাদের ভিন্ন মতের অধিকার অবশ্যই আছে, আবরার কি করছে তা জিজ্ঞাসাবাদ করার এই অধিকার ছাত্রলীগকে কে দিয়েছে বলে তিনি এসময় প্রশ্ন রাখেন।
তিনি বলেন, শিক্ষাঙ্গনে এমন সন্ত্রাসীরা বসবাস করলে লক্ষ লক্ষ ছাত্রদের জীবন হুমকির মুখে দাঁড়াবে। অনতিবিলম্বে আবরার হত্যার সঙ্গে জড়িত সকল সন্ত্রাসীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানান তিনি।
সংগঠনটির জেলা শাখার সভাপতি নুরুল আলম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আবরার হত্যার পূর্বে যাদেরকে ছাত্রলীগ এভাবে অমানবিকভাবে হত্যা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সন্ত্রাসীরা আবরারকে হত্যা করার সাহস পেয়েছে। সুতরাং আবরারের হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে ফাঁসির রায় দেওয়া হোক।
এসময় তিনি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ নয়, ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান।
এছাড়া বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাইন উদ্দীন চিশতি, জেলা শাখার প্রশিক্ষণ সম্পাদক তানভীর হোসাইন, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মো. মোফাচ্ছের খাঁন, লক্ষ্মীপুর শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক এইচ. এম. আল-আমিন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম খলিল, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক শাহ্ ইমরান, অর্থ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।