০৫ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:১৭

ভারতের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে আসিফ নজরুলের স্ট্যাটাস

  © ফাইল ফটো

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনার এবারের ভারত সফর নিয়ে জনমনে আগ্রহের কমতি নেই। এ সফরের ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। এছাড়া এ দুই নেতার মধ্যে তিনটি যৌথ প্রকল্প চুক্তি হয়েছে। যার মধ্যে ফেনী চুক্তি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন- ফেনী চুক্তির প্রতিবাদ, বছরের পর বছর ধরে কাকুতি মিনতি করে পাচ্ছিনা তিস্তা নদীর পানি। কিংবা অন্য কোন নদীর পানি। আর আচমকা সরকার রাজী হয়ে গেলাম আমাদের ফেনী নদীর পানি ভারতকে দিতে!

এটা চরম অন্যায়। একটা দেশ আরেকটা দেশের স্বার্থ দেখে বিনিময়ে কিছু পেলে। কি পেয়েছে বাংলাদেশ যে আমাদের পানি দিতে হবে ভারতকে? কয়েক দশক যাবত আমাদের ন্যায্য পানি দিচ্ছে না ভারত। বাংলাদেশ সরকার কেন রাজী হলো তাদেরকে বাংলাদেশের পানি দিতে, সেও আবার দেশের মানুষকে অন্ধকারে রেখে?

এসময় তিনি ভারতের সঙ্গে ফেনী নদীর পানি নিয়ে সমঝোতার ব্যাপারে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

সমঝোতা স্মারকগুলো হলো:

উপকূলীয় এলাকায় নজরদারিতে সহযোগিতা বিনিময়ে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশ ও ভারত। সই করা সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশের ফেনী নদী থেকে পানি প্রত্যাহার করতে পারবে ভারত। এই পানি তারা ত্রিপুরা রাজ্যর সাবরুম শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্পে ব্যবহার করবে। চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্র বন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য পরিবহনের বিষয়ে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সই হয়েছে। বাংলাদেশকে দেওয়া ভারতের ঋণের প্রকল্প বাস্তবায়নে একটি চুক্তি হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইউনিভার্সিটি অব হায়দরাবাদের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

এসব সমঝোতা স্মারক ছাড়া সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিনিময় এবং যুব উন্নয়নে সহযোগিতা নিয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

চুক্তি ও সমঝোতাপত্র বিনিময়ের পর শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। প্রকল্পগুলো হলো- খুলনায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বাংলাদেশ-ভারত প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট, ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে বিবেকানন্দ ভবন এবং বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় এলপিজি আমদানি প্রকল্প।