৩০ নভেম্বরের মধ্যেই যুবলীগের সম্মেলন!
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:১৩ PM , আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:১৩ PM
সম্প্রতি ক্যাসিনো কাণ্ডের পর থেকেই আলোচনা এসেছে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন যুবলীগ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়মিত হলেও যুবলীগরে সম্মেলন হচ্ছে না দীর্ঘদিন। সর্বশেষ সম্মেলনের পর একে একে কেটে গেছে সাতটি বছর। যদিও সংগঠনটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বক্তব্যে রয়েছে ভিন্নতার সুর। তারা বলছেন সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে তাদের। সময় হলে ঠিকঠাক কাজে নেমে পড়বেন তারা।
যুবলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বললে তারা জানান, সম্মেলন করার জন্য তাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই।
আওয়ামীমনা সংগঠগেুলোর অভিভাবক অভিভাবক হিসেবে স্বীকৃত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখনই বলবেন তখনই সম্মেলনের প্রস্তুতি নেয়া হবে। সম্মেলন করার মতো প্রস্তুতিও তাদের রয়েছে বলে জানান তারা।
এদিকে, নিয়মিত সম্মেলন না হওয়ায় স্থবিরতা যুবলীগে। বর্তমানে পদে থাকা নেতারাও রয়েছেন তোরাই কেয়ার ভাবে। নিয়মিত সম্মেলন না হওয়ায় ছাত্রলীগ থেকে বিদায় নেয়া যুবলীগে পদপ্রত্যাশিদের অনেকের কণ্ঠেই পাওয়া যায় হতাশার সুর।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বলেন, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেভাবেই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। একইভাবে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের আগেই সহযোগী সংগঠনগুলোর কাউন্সিল শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ক্যাসিনো কাণ্ডে খবরের শিরোণাম হয়ে উঠে আওয়ামী যুবলীগ। গেল ১৪ সেপ্টম্বর দলের কার্যনিবার্হী সংসদের সভায় ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরি শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে তুলনা করে যুবলীগরে কিছু নেতা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘এরা আরও খারাপ’।
পরে অভিযানে নামে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রথমে আটক করে যুবলীগর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে। একই সময় তার পরিচালিত ইয়ংমেন্স ক্লাবে চলে অভিযান। পরে একে একে বেশ কয়েকজন যুবলীগ নেতার নেতৃত্বাধীন ক্যাসিনোতে অভিযান চালানো হয়। আটকও রয়েছেন যুবলীগের বেশ কয়েকজন নেতা।
তবে সব কিছু ছাড়িয়ে আলোচনায় চলে আসে ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের নাম। এ পরিস্থিতিতে যুবলীগের সম্মেলন যে অনিবার্য হয়ে পড়েছে তা-ই মনে করেছেন আন্দোলন সংগ্রামে সংগঠনটির পাশে থাকা নেতা-কর্মীরা। আশার প্রহর গুণছেন পদ্রপত্যাশীরাও।